‘একদিন সবাইকে থামতে হয়’- শেষ টেস্টের আগে টেইলর

আজ রবিবার থেকে শুরু হওয়া ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্যারিয়ার শেষ হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বর্ষীয়ান ক্রিকেটার রস টেইলরের। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। টেইলরের সিদ্ধান্তে ভক্তরা হতাশ হলেও একজন কিন্তু ভীষণ খুশি হবেন। তিনি হলেন রস টেইলের ছোট্ট মেয়ে। কারণ সে এখন থেকে বাবার সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে পারবে। আজ ম্যাচ শুরুর আগে টেইলর বললেন, তিনি অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেটকে মিস করবেন।

সেই ২০০৭ সালে নিজের প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন টেইলর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ান্ডারার্সে। ১১২ নম্বর ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে টেইলরের টেস্ট ক্যারিয়ার। জীবনের শেষ টেস্টে খেলতে নামার আগে সাংবাদিকদের টেইলর বলেছেন, ‘আমার মেয়ে এখনও পাঁচ দিনের ক্রিকেটটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি। আগের দিন যখন আমি আউট হলাম, তখন ও এসে বলে, বাবা এ বার বাড়ি চলো! আমার শেষ ম্যাচ, ব্যাপারটা এখনও সে ভাবে ভাবছি না। আসলে এখনও ওয়ানডে ক্রিকেট আছে। যদি এটা আমার শেষ ম্যাচ হলে মনে হয় অন্যরকম অনুভূতি হতো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেটা নয়।’

এই বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলবে নিউজিল্যান্ড। ওই সিরিজে হয়তো টেইলর তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। শেষ টেস্ট খেলার পরে কি মনে একটা শূন্যতা বোধ করবেন? ১১১ টেস্টে ৭৬৫৬ রান এবং ১৯টি সেঞ্চুরির মালিক টেইলরের জবাব, ‘অবশ্যই। শতভাগ। কিন্তু অবসরের পরে আবার কিছু পাওয়ারও থাকবে। সব ভাল জিনিসেরই তো শেষ থাকে, তাই নয় কী। একটা সময় তো থামতেই হয়। আমি এখন এই টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছি। এর পরে আশা করছি, কয়েকটা ওয়ানডে খেলতে পারব।’

জীবনের শেষ টেস্ট থেকে একটা জিনিস চান টেইলর। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের জন্য ভাল কিছু করে শেষ করা। তার কথায়, ‘আমি আজ যে জায়গায় পৌঁছেছি, তার নেপথ্যে আমার পরিবার, বন্ধু এবং টিমমেটদের বড় ভূমিকা আছে। আমাদের দলেও এখন বেশ কয়েকজন নতুন ক্রিকেটার এসেছে। তাদেরকেও সুযোগ দেওয়া উচিত।

LEAVE A REPLY