সাধারণ কাউন্সিলররা মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ দিতে পারলেও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা তা পারবেন না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন দাপ্তরিক আদেশ ও এ সংক্রান্ত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন ১১, ১৮ ও ২৫ আসনের তিন নারী কাউন্সিলর। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন আইনজীবী মো.ইউনুছ আলী আকন্দ। তিন রিট আবেদনকারী হলেন, খালেদা আলম (আসন -১৮) সাহেদা বেগম (আসন -২৫) ও নাসরিন রশিদ পুতুল (আসন -১১)।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেন, “আগামী রবিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটিটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।” গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকবরামুজ্জামান দাপ্তরিক এ আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরগণের দায়িত্ব, কার্যাবলী ও সুযোগ সুবিধা) বিধিমালা-২০১২ অনুচ্ছেদ নম্বর ৩(৩) অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার,জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান করার দায়িত্ব সাধারণ কাউন্সিলরদের। সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলরদের এ ধরনের সনদ দেওয়ার সুযোগ নেই।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, বিধিমালায় সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের কাজের মধ্যে বৈষম্য করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের এই বিধানটি ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশের পরিপন্থী। ওই আদেশে কাউন্সিলরদের কাজে বৈষম্য করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।”
রিট আবেদনে সিটি করপোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরগণের দায়িত্ব, কার্যাবলী ও সুযোগ সুবিধা) বিধিমালা-২০১২ এর ৩(৩)বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের দাপ্তরিক আদেশটি কেন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।