ভালো-মন্দ বিচারে সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ না হলেও চলে

টফি অ্যাপে যেকোনো সময় দেখা যাচ্ছে ‘স্টার সার্চ’। এ ছাড়া আরটিভিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচারিত হচ্ছে প্রতিভা অন্বেষণের রিয়ালিটি শোটি। প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মুখোমুখি হয়েছেন রংবেরঙে

এই প্রতিযোগিতা থেকে আপনার প্রত্যাশা কী?

দেশের আনাচে-কানাচের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা তাদের প্রভিভা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরবে—এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। দেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনেক মেধাবী ছেলে-মেয়ে আছে, যারা সুযোগের অভাবে নিজের প্রতিভা বিকশিত করতে পারে না। তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এই শো। 

এখানে গান, নাচ, অভিনয়সহ নানা ধরনের দক্ষতা দেখিয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন করছেন কিভাবে?

আমি মূলত অভিনয়ের মানুষ। পাশাপাশি গানবাজনাও করি। চর্চা বা সাধনার মাধ্যমে যেটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি, তা এই প্রতিযোগিতায় বিচারের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। তবে আমি মনে করি, একজন প্রতিযোগীর পারফরম্যান্সের ভালো-মন্দ বিচারের জন্য সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ না হলেও চলে। কেউ যদি ভালো গান বা অভিনয় করে, তাহলে একজন সাধারণ দর্শকও কিন্তু তা বুঝতে পারে। সেই উপলব্ধি দিয়ে নিরপেক্ষভাবে বিচার করাটাই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে অনেক সময় প্রায় সমান মেধার একাধিক প্রতিযোগীকে বিচার করা কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে আমরা কাজের প্রতি প্রতিযোগীদের নিষ্ঠা ও সততার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় আনব।

দেশীয় প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’। ব্যবহারকারীরা নিজেদের বানানো ভিডিও এখানে আপলোড করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগকে আপনি কিভাবে দেখেন?

অবশ্যই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট যাচাই-বাছাই বা ফিল্টারেশনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। যেকোনো প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় সেটির অপব্যবহার হয়। কনটেন্ট যাচাই-বাছাই ঠিকমতো না হলে মানসম্মত নয় এমন অনেক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে চলে আসে। এর ফলে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।

 অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনি খুব বাছাই করে চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন। এই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেন?

আমি আসলে যাচাই-বাছাই করেই কাজ করতে পছন্দ করি। তবে ক্যারিয়ারের একটা সময় পর্যন্ত নিজের পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। একদম শুরু থেকেই বাছ-বিচার করতে গেলে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমি অভিনয় করছি ২৫ বছর ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। নিজেকে সময়ের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য আমি সব সময়ই চিন্তা-ভাবনা করি। একজন অভিনেতা যদি সারা জীবন একই ধরনের কাজ করে যান তাহলে দর্শকের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমি ভিন্নতা বা নতুনত্বকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

LEAVE A REPLY