করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দর্শক সংখ্যা ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় আয়োজক কমিটি। মেলবোর্নে সম্প্রতি প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যপাকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে মেলবোর্ন পার্কে শুরু হচ্ছে এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম। বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে আগত সকল দর্শককে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। একইসাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে ভিক্টোরিয়ান প্রাদেশিক পর্যটনমন্ত্রী জালা পুলফোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আমরা সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমাদের কাছে খেলোয়াড়, সমর্থক ও এখানকার সব স্টাফদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বাগ্রে। এখানে কোন ধরনের ছাড় দেবার কোন সুযোগ নেই।’
মেলবোর্ন পার্ক কমপ্লেক্সে গত বছরও করোনা মহামারীর মধ্যে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ওই সময় টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র পাঁচদিন আগে লকডাউন শুরু হলেও প্রথম রাউন্ডে দর্শকবিহীন কোর্টেই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার আক্রান্তের মধ্যে রেকর্ড ৯৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আসার সব খেলোয়াড় ও স্টাফদের ভ্যাক্সিন দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
তবে শীর্ষ তারকা নোভাক জকোভিচের বিষয়টি ছিল ভিন্ন, যা নিয়ে এখনো আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এক সপ্তাহ আগে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছালেও এখনো তার খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে কারণেই ভ্যাক্সিন না নেয়া সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় তাকে খেলতে দেবার বিষয়টি নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইতোমধ্যেই বর্ডার এজেন্টরা তার এই বিশেষ বিবেচনায় মেডিকেল এক্সেমশনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য জকোভিচের ভিসা বাতিলের বিষয়টি আমলে নেয়নি আদালত।