গত রবিবারের ঘটনা। এক অনুষ্ঠান সেরে রাতে ফিরছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের চার ব্যক্তি। টহল পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। শেষমেশ পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় হেনস্তা। পরনে মহিলাদের পোশাক কেন, এই প্রশ্ন করার পর তাঁদের বলা হয় পোশাক খুলতে। এরপর এক পর্যায়ে পুলিশকর্মীরা জোর করে তাঁদের জামা ছিঁড়ে দেয়।
পরের দিন থানা থেকে ছাড়ার সময় এই মর্মে পুলিশ তাঁদের মুচলেকা দিতে বাধ্য করে যে তাঁরা সকলে পুরুষ এবং আর কখনো মহিলাদের পোশাক পরবেন না। চার তৃতীয় লিঙ্গের একজন একজন ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা থানায় এমন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, তারা কাউকে হেনস্তা করেনি।
এদিকে ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, ওই চারজন সেদিন রাতে মেলার মাঠ এলাকায় চাঁদাবাজি করছিল। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত হয়। যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরের দিন সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, তাদের বিরুদ্ধে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের পোশাক খোলা ও মারধরের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল শুরু হয়েছে। থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর পালটা সাফাই দেয় পুলিশ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, অভিযোগ দায়েরের পর আত্মপক্ষ সমর্থনে কেন এত দেরি করেছে ত্রিপুরার ওই থানার পুলিশ। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন