হাকালুকি হাওরে গাছ কাটা-দখল বন্ধে আইনি নোটিশ

এশিয়ায় মিঠা পানির বৃহত্তম জলাভূমি হাকালুকি হাওরে গাছ কাটা ও অবৈধ দখল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা। 

গত ২৫ ডিসেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে আজ রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠানো হয়। 

বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সিলেট-মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সাতটি দপ্তরে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।  

হাকালুকি হাওরের গাছ কাটা ও বন উজাড় এবং অবৈধ দখলের মাধ্যমে হাকালুকির ভূমির প্রকৃতি পরিবর্তনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে নোটিশে। সেই সঙ্গে অনুরোধ জানানো হয়েছে, হাকালুকির যে এলাকা বা অংশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ লাগাতে। এ ছাড়া হাকালুকি সুরক্ষায় আরো প্রহরী বা প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগের আরজি জানানো হয়েছে নোটিশে। 

আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা কালের কণ্ঠকে বলেন, “প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬-এর ২৪ বিধি অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবছর প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার বাৎসরিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারকে দিতে হয়। যে কারণে ২০১৬ থেকে এখন পর্যবন্ত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে হাকালুকির বাৎসরিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।”  

নোটিশ পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে নোটিশগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেওয়া হয়েছে নোটিশে।

LEAVE A REPLY