সেতু হচ্ছে মোংলা নদীতে

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সমুদ্র বন্দর মোংলাসহ শিল্প এলাকার সাথে মোংলা শহরকে যুক্ত করতে মোংলা নদীতে সেতু হচ্ছে। এজন্য সোমবার থেকে মোংলা নদীতে সেতুর ডিজাইনসহ নির্ধারিত স্থানের দুই পাড়ে সংযোগ সড়কের নকশাসহ ভূমি জরিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগ জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার একটি খরস্রোতা মোংলা নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার ও গড় প্রস্থ ২৪৫ মিটার।বাগেরহাট জেলার পশ্চিম দিকের শতাধিক খালসহ বিশেষত কুমারখালী নদী, ফয়লা নদীর জলধারা রামপাল উপজেলার কাছে একত্রিত হয়ে মোংলা নাম ধারণ করেছে। আপাতত নদীটি আরও দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বন্দরনগরী মোংলার পাশে পশুর নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত। নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকে এবং প্রতিদিন লাইটার কার্গো ভেসেলসহ ছোটবড় হাজারো নৌযান চলাচল করে।

এই নদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রথম শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক মোংলা নদীর পরিচিতি নম্বর হচ্ছে ৭২। সমদ্র বন্দর মোংলাসহ শিল্প এলাকার সাথে মোংলা শহরকে যুক্ত করতে মোংলা নদীতে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য এখন মোংলা নদীতে সেতুর ডিজাইনসহ নির্ধারিত স্থানের দুই পাড়ে সংযোগ সড়কের নকশাসহ ভূমি জরিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. লিয়াকত আলী জানান, মোংলা নদীতে সেতু নির্মাণ করার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্লানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোংলা নদীতে সরকার সেতু নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য এখন মোংলা সেতুর ডিজাইনসহ প্রস্তাবিত স্থানের দুই পাশের সংযোগ সড়কের ভূমি জরিপ চলছে। জরিপের প্রতিবেদন হাতে আসার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY