ওমিক্রন নিয়ে অনেকেই বিশেষ ভয় পাচ্ছেন না। কারণ একটি কথা এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেছে, ওমিক্রনে বিরাট কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। কারণ ওমিক্রন ফুসফুসে সংক্রমিত হচ্ছে না। যদিও বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর পরে আরো নানা ধরনের রূপ আসতে পারে। সেগুলো ঠিক কেমনভাবে সংক্রমণ ঘটাবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ঠিক যেমনভাবে পরিষ্কার নয়, করোনা সংক্রমণ শরীরের ঠিক কী কী ক্ষতি করে। তবে এর মাঝে একটি বিশেষ ক্ষতি বা প্রভাবের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। শুধু বড়দেরই নয়, ছোটদের ক্ষেত্রেও সমান মাত্রায় পড়তে পারে করোনার এই প্রভাবগুলো।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ নিয়ে গবেষণাগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, ক্যানসার আক্রান্তদের কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হলে, তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কের কোষের নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু বদল আসে। ক্যানসার সেরে যাওয়ার পরে, কেমোথেরাপি শেষ হওয়ার পরেও সেই প্রভাব থেকে যায়। তাকে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা যায় না শরীর থেকে। কভিডের ক্ষেত্রেও তাই।
একবার কোভিড সংক্রমণ হলে তার প্রভাব পড়বেই মস্তিষ্কে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন সাইটোকাইন নামক ফ্লুইডের ভূমিকার কথা। শরীর এই উপাদানটি নিজেই তৈরি করে রোগটির সঙ্গে লড়াই করার জন্য। এটির প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। ঠিক যেভাবে কেমোথেরাপি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে, সেভাবেই সাইটোকাইন কভিডের সঙ্গে লড়ে। এবং কেমোথেরাপির রাসায়নিকের মতোই এটিও মস্তিষ্কের কোষের গড়নে বদল ঘটায়। এই ছাপ সারা জীবন থেকে যায়।
তবে এই ছাপ কার ক্ষেত্রে কতটা পড়বে, তা নির্ভর করে তিনি কী মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই ছাপ পড়তে পারে, এবং তা সারা জীবন থেকে যেতে পারে। যাঁরা নিয়মমাফিক টিকা নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাপ কম পড়ে, এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস