শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকে (র্যাব) বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে ১২টি মানবাধিকার সংস্থা। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়াকে পাঠানো এই চিঠিটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
চিঠি দেওয়া সংস্থাগুলো হলো- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলানটারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পারসিটিসিপেশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনা ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, দ্য অ্যাডভোকেটস ফর হিউম্যান রাইটস, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
চিঠিতে র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
প্রায় দুই মাস আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর চিঠিটি পাঠানো হয়। তবে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও।
মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি বলেন, ‘মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যদি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে মানবাধিকার হরণের অবসানের বিষয়ে আন্তরিক হয়ে থাকেন তাহলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের মতো যাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের প্রমাণিত অভিযোগ রয়েছে তাদের বাদ দেওয়া নিশ্চিত করবেন। ‘ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ স্পষ্ট, এখন জাতিসংঘের ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। ’
এদিকে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন কালের কণ্ঠকে বলেন, গণমাধ্যম ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা জেনেছি গত ৮ নভেম্বর ১২টি সংস্থা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে। তবে এখনও আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।