‘লো-স্কোরিং টুর্নামেন্ট’-এর দুর্নাম নিয়েই বিপিএল শুরু

করোনার কারণে মাঠে দর্শক নেই। গ্যালারিতে ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব। তার ওপর এক একটি বাউন্ডারির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে টিভির সামনে বসে থাকা দর্শকদের। সব মিলিয়ে বিপিএলের ৮ম আসরের উদ্বোধনী দিনে ‘স্বরূপে’ ধরা দিয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা।

বরাবরই এই মাঠে ম্যাচের উত্তেজনা ছাপিয়ে আলোচনা চলে আসে ধীরগতির ঘূর্ণি উইকেট। সেটা হোক আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া আসর।

গত বছর অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে টাইগারদের ব্যর্থতায় হোম অব ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছিল দুনিয়াজুড়ে। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজেও তাই। সেই সিরিজ শেষ হওয়ার ৪৩ দিন পর মিরপুরে আবারও ফিরেছে ক্রিকেট। আজ থেকে শুরু হওয়া বিপিএলে অবশ্য ততটা খারাপ ছিল না। বল নিচু হয়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা দেখা যায়নি। বরং দেখা গেছে ব্যাটারদের বাজে শটের মহড়া।

টি-টোয়েন্টি রানের খেলা, চার-ছক্কার খেলা। কিন্তু মিরপুরে অন্তত এই থিওরি কার্যকর নয়।  চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা চার মেরেছেন ৮টি, ছক্কা ৬টি। এর মাঝে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েলই হাঁকিয়েছেন ৩টি করে। দুই অংক ছুঁয়েছেন এমন ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ স্ট্রাইট রেট ২০ বলে ৪১ করা বেনি হাওয়েলের (২০৫.০০)। এই উইকেট যে ব্যাটিং প্রতিকুল নয়, তার প্রমাণ যেন বেনি হাওয়েলের ইনিংসটাই। আর কোনো ব্যাটার তো বিশের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। ইংলিশ ব্যাটারের শেষের ওই ঝড়ে চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৫ রান। অর্থাৎ তারা রান তুলেছে মাত্র ৬.২৫ রেটে।

ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসেও চিত্রটা একই ছিল। রান তাড়ায় প্রথম ১০ ওভারে তারা তুলেছে মাত্র ৫৫! উইকেট পড়েছে ২টি। সাকিব এবং শান্ত দুজনেই বাজে শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন। ১২৫ রান তাড়া করতে তাদের লেগেছে ১৮.৪ ওভার। দুই অংক ছোঁয়া ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট জিয়াউরের (১৯*) ১৫৮.৩৩। ১৬ রানে ৪ উইকেট মিরাজের করা ১৫ তম ওভারটিই যা একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, বিপিএলকে লো স্কোরিং টুর্নামেন্ট বলা হয়, আজকের উদ্বোধনী ম্যাচে সেই সমালোচনাকেই যেন ফের প্রতিষ্ঠিত করল।

LEAVE A REPLY