২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নোভাক জকোভিচ। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন টুর্নামেন্ট প্রধান ক্রেইগ টিলে। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন না নেওয়ায় বিশ্বের এক নম্বর এই সার্বিয়ান তারকার অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হলে মেলবোর্নে গিয়েও খেলা হয়নি। এই ঘটনাটি পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে নাড়া দিয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে জকোভিচ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে অংশ নিতে মেলবোর্নে গিয়েছিলেন। রেকর্ড ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তাঁর কোর্টে নামার কথা ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান কঠোর কভিড আইনের কাছে শেষ পর্যন্ত তাঁকে নতিস্বীকার করতে হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে টিলে কিছুটা হলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সাধারণত তাঁকেই সবচেয়ে বেশি সরব দেখা যায়। কিন্তু এবার জকোভিচের ঘটনাটি নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন অভিজ্ঞ টিলে।
অস্ট্রেলিয়ান আইনের অধীনে জকোভিচের ভিসা হয়তো তিন বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তার পরও ২০২৩ টুর্নামেন্টে সার্বিয়ান তারকা ফিরতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইতিবাচক মন্তব্যই করেছে টিলে। এ সম্পর্কে টিলে বলেন, ‘অবশ্যই। এবার সে খেলতে পারেনি, কিন্তু আগামীবার তার ইচ্ছার ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। দিনের শেষে এটা কিন্তু মানতেই হবে সে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে সে দারুণ পছন্দ করে। ‘
যদিও ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল এ্যান্ড্রু আবারও বলেছেন শুধুমা ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই জকোভিচ আগামী বছর এখানে খেলতে আসতে পারবেন। অ্যান্ড্রু আরো বলেন, ‘রাফায়েল নাদাল তো ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে। জকোভিচ মনে করেছিল টুর্নামেন্টের থেকে সে নিজে এককভাবে বিশেষ কিছু। কিন্তু আইন সকলের জন্যই সমান। এ কারণেই তাকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। এটা আমাদের অনেক বড় এটি সাফল্য। ‘
জকোভিচের দীর্ঘদিনের কোচ মারিয়ান ভায়া গত সপ্তাহে বলেছিলেন, পুরো বিষয়টি জকোভিচকে মানসিকভাবে বেশ আঘাত করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জকোভিচকে চিনি, এ বিষয়টি খুব সহজে তার মাথা থেকে যাবে না। জকোভিচের মতো একজন খেলোয়াড়ের সাথে এটা না হলেও পারত। ‘