ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে ইউক্রেনে প্রায় ৯০ টন ‘মারণাস্ত্র সহায়তা’ পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত সামরিক সহযোগিতার আওতায় প্রথম চালান এটি। এর মধ্যে ‘সম্মুখসারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র জন্য প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ আছে।
এতোদিন সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবেলায় হুমকি-হুঁশিয়ারি দিলেও মার্কিন প্রশাসন এই প্রথম গতকাল শনিবার কিয়েভে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম পাঠালো। কিয়ভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই চালান ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এক ফেসবুক বার্তায় মার্কিন দূতাবাস আরও লিখেছে, ‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং রাশিয়ার আগ্রাসন রোধে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সামরিক বাহিনীকে অব্যাহতভাবে এই ধরণের সামরিক সহায়তা দিয়ে যাবে।’এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে চলমান সামরিক মহড়ার মাঝেই শনিবার সে অঞ্চলে নতুনভাবে ১২টি ‘সুখয়- থার্টি ফাইভ ফাইটার জেট’ এবং মিসাইল সিস্টেম ‘পান্তসির’ পাঠালো রাশিয়া। এছাড়া, ট্রেনের মাধ্যমে হামলা ঠেকাতে দুটি ‘এস- ফোর হান্ড্রেড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও যাচ্ছে বেলারুশ সীমানায়।
এমন টানাপোড়েনের মধ্যেও আশাবাদী জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, শিগগিরই সংলাপের মাধ্যমে দেখতে চান সমাধান। অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবে না রাশিয়া। কারণ, অঞ্চলটিতে কোনো নাটকীয় পরিস্থিতি দেখতে চাই না আমরা। বর্তমানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেটিরও দ্রুত অবসান দরকার। সেক্ষেত্রে, শান্তি আলোচনাই হতে পারে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।
সূত্র : বিবিসি ও আল-জাজিরা।