বুরকিনা ফাসোর বিভিন্ন সেনা ব্যারাকে বিদ্রোহ

বিদ্রোহী এক সেনা: ছবি আল জাজিরা অনলাইন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর সৈন্যরা রবিবার ভোরে বিভিন্ন ব্যারাকে বিদ্রোহ করেছে। তাদের দাবি, জ্যেষ্ঠ কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং জঙ্গি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আরো বেশি অর্থ ও উপকরণ বরাদ্দ করা। তবে সরকার অভ্যুত্থানের গুজবকে নাকচ করে দিয়েছে।

রাজধানী ওয়াগাদুগুর সামরিক ব্যারাকগুলোতে এবং কাছাকাছি বিমান ঘাঁটিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভারী গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে।

শত শত মানুষ সৈন্যদের সমর্থনে পথে বেরিয়ে আসে এবং ক্ষমতাসীন দলের সদর দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেয়।  

সরকার বলেছে, সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ একটি নতুন অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার গুজবকেও নাকচ করে দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই একটি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১১ জন সৈন্যকে আটক করা হয়েছিল।

এ অস্থিতিশীলতাকে জঙ্গি ইসলামি বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থতার জন্য রাষ্ট্রপতি রশ কাবোরের সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের নমুনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে চলা এ বিদ্রোহ দেশটিকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।

মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় শহর কায়া এবং উয়াহিগুয়ায় সামরিক ঘাঁটিতেও গুলির শব্দ শোনা গেছে।

বিদ্রোহী সৈন্যরা বেশ কিছু দাবি করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সেনাপ্রধান এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের বরখাস্ত, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামনের সারিতে আরো সৈন্য মোতায়েন করা এবং আহত সৈনিক এবং যুদ্ধে নিহতদের পরিবারের জন্য আরো ভালো সেবা ও সুবিধার ব্যবস্থা করা। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

LEAVE A REPLY