মার্কিন দূতাবাসকর্মীদের পরিবারকে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ

জরুরি নয় এমন কর্মীদেরও ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার ইউক্রেন দূতাবাসকর্মীদের স্বজনদের দেশটি ত্যাগের  নির্দেশ দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তর জরুরি নয় এমন কর্মীদেরও ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

দেশটিতে থাকা মার্কিন নাগরিকদেরও প্রস্থান করার কথা ভেবে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রাশিয়া সম্প্রতি সীমান্তে সেনা সমাবেশ করলেও ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা করার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর চলমান উত্তেজনা এবং ‘মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হয়রানির’ আশঙ্কায় ইউক্রেন এবং রাশিয়ায় না যাওয়ার জন্যও জনগণকে সতর্ক করেছে।

রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত ‘প্রাণঘাতী’ অস্ত্রের প্রথম চালান এরই মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে। ৯০ টন ওজনের এই সহায়তাকে ‘প্রাণঘাতী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।  

শুক্রবার জেনেভায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালানটি ইউক্রেনে পৌঁছায়। ইউক্রেন নিজে ছাড়াও তার প্রতিবেশী তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র দেশটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়ে আসছিল।

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে গত শুক্রবার বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বলা হয়েছিল, ওই বৈঠক সামরিক সংঘাত এড়ানোর শেষ চেষ্টা।  

বৈঠকের পর উভয় দেশ জানায়, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে রাশিয়া লিখিতভাবে নিরাপত্তাগত কিছু দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে এর জবাব দেবে বলে কথা। আগামী সপ্তাহেই আবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে মস্কোপন্থী একজন সরকারপ্রধান বসানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য। মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে ‘বাজে কথা’ আখ্যা দিয়ে তা উড়িয়ে দিয়েছে।  

ইউক্রেন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শনিবার পদত্যাগ করেছেন জার্মানির নৌবাহিনী প্রধান কে আশিম শনবাখ। শুক্রবার ভারতে এক গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে চায় এটা বাজে কথা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুধু চান সম্মান। পশ্চিমাদের উচিত তাকে সমান সম্মান দিয়ে কথা বলা। ’ শনবাখের মন্তব্যে পশ্চিমা মহলে প্রতিক্রিয়া হয়।

সূত্র : বিবিসি।

LEAVE A REPLY