অর্থ আত্মসাতের মামলা : মোয়াজ্জেম হোসেনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংক লিমিটেডের (এসবিএসি) সাবেক পরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনকে  ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে আজ সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদালত জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে, আদেশের (হাইকোর্টের) দিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদলতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ১৭ জানুয়ারি  সংস্থাটির  ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সাউথ বাংলা ব্যাংকের বিজয়নগর (তৎকালীন মতিঝিল) শাখার ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রতারণার মাধ্যমে রাফি-মাহি করপোরেশন নামের কাগুজে একটি কম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ঋণ অনুমোদনের আগেই তৎকালীন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ১২ কোটি ১১ লাখ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে সেই অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আসামিরা পাচার করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় আমজাদ ও মোয়াজ্জেম ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- রাফি-মাহি করপোরেশনের মালিক এ কে এম আসিফ উদ্দিন, সাউথ বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ শরফুদ্দিন, ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ, ফার্স্ট অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রুমন-উল-ইসলাম, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. তানজির উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যাংকের মাধবদী উপশাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাসরিমা নাহিদ।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

LEAVE A REPLY