ইউক্রেন ইস্যুতে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোকে হুমকির মুখে ফেললেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে তার দেশ পূর্ব ইউরোপ থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। তার এ ঘোষণাকে ন্যাটো জোটের জন্য সর্বশেষ বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মিলানোভিচ বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার দ্বন্দ্বে ক্রোয়েশিয়া জড়াবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান খুব নিকটবর্তী মন্তব্য করে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট বলেছে, পূর্ব ইউরোপে তারা হাজার হাজার সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সম্পর্কে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আমি ওই বিবৃতি নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করেছি যে, আমেরিকা বা কোনো একক দেশ নয় বরং ন্যাটো জোট সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে এবং কয়েকটি গোয়েন্দা জাহাজ পাঠিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো দায় নেই এবং এ নিয়ে আমাদের কিছু করারও নেই। এটি আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি- কোনো সংঘাত শুরু হলে ক্রোয়েশিয়া কোনো সেনা পাঠাবে না। এর বিপরীতে আমরা বরং ন্যাটো জোট থেকে সর্বশেষ সেনাকেও প্রত্যাহার করে আনব।
মিলানোভিচ বলেন, যাকিছু ঘটছে তার সবই রাশিয়ার পাশে। এ অবস্থায় অবশ্যই একটি চুক্তিতে পৌঁছা উচিত যাতে রাশিয়ার নিরাপত্তা স্বার্থকে বিবেচনায় নেয়া হয়। সূত্র : পার্সটুডে।