অনন্য অর্জনে আহমেদ শরীফের পাশে জায়েদ খান

জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পর পর তিন বার সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন অভিনেতা জায়েদ খান। এর আগে পর পর তিনবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ। অবশ্য এর মধ্যে একবার (১৯৮৭ সাল) ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন আহমেদ শরীফ। আগের দুইবারই তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন কণ্ঠ ভোটে বা সিলেকশনে।

kalerkantho

টানা ৫ মেয়াদে সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন আহমেদ শরীফ। তিনবার সাধারণ সম্পাদক, দুই বার সভাপতি।


শিল্পী সমিতির জন্ম ১৯৮৪ সালে। কিংবদন্তী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক তাঁর বাড়িতে এক আয়োজনে অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটা ছাউনি গড়ার কথা বলেছিলেন। শুটিংয়ের ফাঁকে যেখানে সব শিল্পীরা গিয়ে বসতে পারবেন, আড্ডা দিতে পারবেন। প্রথমবারের কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শরীফ। এই কমিটির মেয়াদ ছিল মাত্র তিন মাস। ১৯৮৪ সালেল ১১ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় কমিটি যাত্রা শুরু করে। তখন সভাপতি ছিলেন খলিলউল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শরীফ।

kalerkantho

শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নায়করাজ রাজ্জাক


১৯৮৭ সালে চলচ্চিত্রের ফাইটার গ্রুপের দাবির প্রেক্ষিতে প্রথমবার ব্যালটের মাধ্যমে কমিটি নির্বাচিত হয়। সেই নির্বাচনেও খলিল উল্লাহ খান ও আহমেদ শরীফ জয়ী হন। এভাবেই পর পর তিন বার সাধারণ সম্পাদক হন আহমেদ শরীফ।
জায়েদ খান প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ২০১৭ সালে। এর আগে ২০১১ সালে শাকিব খান-মিশা সওদাগর প্যানেল জয়ী হয়। ২০১৩ সালে নির্বাচন হয়নি। ২০১৫ সালে ফের জয়ী হয় শাকিব খান-অমিত হাসান প্যানেল। ২০১৭ সালে মিশা সওদাগর প্যানেল গড়েন জায়েদ খানকে নিয়ে। ২০১৯-এর নির্বাচনেও জয়ী হন তাঁরা।
পর পর তিনবার ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আহমেদ শরীফের রেকর্ড কিছুটা ম্লান জায়েদ খানের কাছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, তিন বার সাধারণ সম্পাদক থাকার পরও টানা দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন আহমেদ শরীফ (১৯৮৯ ও ১৯৯১)। সেই হিসেবে টানা ৫ বার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। এর পরও আরো দুইবার সভাপতি হয়েছিলেন আহমেদ শরীফ, ১৯৯৫ ও ২০০২ সালে। আর কেউই এতো বার শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন না।
এবার যিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেই ইলিয়াস কাঞ্চন আগে একবারই নেতৃত্বে ছিলেন। ১৯৮৯ সালে আহমেদ শরীফের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এছাড়াও দুই মেয়াদে মাহমুদ কলি ছিলেন সভাপতি (১৯৯৭ ও ১৯৯৯), একবার সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৫)। দুই মেয়াদে মিজু আহমেদ ছিলেন সভাপতি (২০০৪ ও ২০০৯), সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৭ ও ১৯৯৯)।
মিশা সওদাগর দুই মেয়াদের সভাপতি (২০১৭ ও ২০১৯), একবার সাধারণ সম্পাদক (২০১১)। শাকিব খান দুই মেয়াদের সভাপতি (২০১১ ও ২০১৫)।
এছাড়াও এক মেয়াদে সভাপতি হয়েছিলেন আলমগীর (১৯৯৩)। এক মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডিপজল (২০০২), রুবেল (২০০৯), মান্না (২০০৪), অমিত হাসান (২০১৫), মাহবুব খান গুই (১৯৯৩)।

LEAVE A REPLY