রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ব্রিটেন

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেন সীমান্তে ন্যাটোর সৈন্য মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। এ বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, রাশিয়ার ব্যাংক, জ্বালানি কোম্পানি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাজ্য জানিয়েছিল, তারা ইস্তোনিয়া ও পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোতে আরো বেশি সেনা মোতায়েন করতে চাচ্ছে।রবিবার বিবিসিকে ট্রাস বলেছেন, ‘আমরা নতুন আইন করতে যাচ্ছি যাতে আমরা ক্রেমলিনের প্রধান হর্তাকর্তা ও রাশিয়ার শাসক সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারি। ইউক্রেনে আগ্রাসনের চরম মূল্য দিতে হবে। আমরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারি, আমরা জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে, ক্রেমলিনের শাসকগোষ্ঠীদের ঘনিষ্ঠদের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারি।’

পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, ব্রিটেনের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা লন্ডনকে শুধুমাত্র ইউক্রেনের অস্থিতিশীলতার সাথে জড়িতদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অনুমতি দেয়; নতুন আইনটি রাশিয়ার ‘কৌশলগত স্বার্থগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর অনুমোদন দেবে।

পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। মূলত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে কিংবা সেখানে অনুগত ব্যক্তিকে শাসক হিসেবে বসাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছেন।

LEAVE A REPLY