বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং বিষয়ক নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ওই নীতিমালাটি গ্রাহকবান্ধব করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে কয়লা, তরল জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বৈদ্যুতিক পরিবহন এবং গণপরিবহন বৈদ্যুতিকীকরণ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং বিষয়ক নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক যান চার্জিং বিষয়ক খসড়া নীতিমালায় ইলেকট্রিক মোটরযানের জীবনকাল মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১০ বছর, তিন চাকার যানবাহন ৯ বছর এবং হালকা, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের জন্য ২০ বছর ধরা হয়েছে। অনুমোদিত চার্জিং স্টেশন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনা, সোলার প্যানেল বা নবায়নযোগ্য যেকোনো জ্বালানি ব্যবহার করে রিচার্জ করা যাবে। তবে ইলেকট্রিক মোটরযানের নিবন্ধন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, পেট্রলচালিত যানবাহনের প্রতি এক হাজার কিলোমিটারের জন্য যেখানে পাঁচ হাজার ৩৭৫ টাকা খরচ হয় সেখানে একই দূরত্বের জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে খরচ হবে এক হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া পেট্রলচালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের যান্ত্রিক দক্ষতা বেশি ও পরিবেশবান্ধব।
