ক্যান্সার চিকিৎসা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সহজলভ্য করার আহ্বান

ক্যান্সার চিকিৎসাসেবায় বৈষম্য কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণ। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা ক্যান্সার চিকিৎসাকে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নিয়ে আরো সহজলভ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

আজ শুক্রবার আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশ এখনো পর্যন্ত ক্যান্সার নির্ণয়ে অনেক পিছিয়ে।

দেশে ক্যান্সার রোগীর তুলনায় খুব কম সংখ্যক চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু আশার বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮টি বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্যান্সার নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। শুরুতেই ক্যান্সার নির্ণয়, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তার স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো-ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এবং তারা যথাযথ চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছেন না। ক্যান্সার রোগীদের সুচিকিৎসায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০০০ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয় যে, আমরা প্রতিবছর ক্যান্সার সম্পর্কে কাজ করব। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্যান্সার সম্পর্কে যে ভ্রান্ত ধারণা আছে তা কমিয়ে আনা হবে। যেসব কুসংস্কার আছে তা দূর করব।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। ডা. ফারহানার সঞ্চালনায় বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম মুন্না, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ রোবেল আমিন, এমসিজিএইচের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. এএমএম শরিফুল আলম, মেজর জেনারেল প্রফেসর ডা. মোহা. আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।  

LEAVE A REPLY