আমি বাংলায় কথা না বললে সলিলদা রাগ করতেন, লতা

লতা মঙ্গেশকরের

নানা সময়ে বিভিন্ন গণম্যাধমে প্রকাশিত লতা মঙ্গেশকরের সাক্ষাত্কারের নির্বাচিত অংশ

সাফল্য প্রসঙ্গ

আমি এটা বিশ্বাসই করতে পারি না যে এতটা সময় ধরে সংগীতপ্রেমীরা আমার কণ্ঠ সহ্য করেছে। আমি সাফল্যকে মাথায় নেই না।

kalerkantho

প্রিয় কিশোরদার সঙ্গে লতা

লতার চোখে সেরা

নূর জাহান, শমশদ বেগম, গীতা দত্ত, আশা ভোঁসলে ভীষণ প্রতিভাধর গায়িকা। পরের প্রজন্মের আলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহানকেও ভীষণ পছন্দ।

kalerkantho

এই সময়ের গায়িকাদের মধ্যে শ্রেয়া ঘোষাল লতার পছন্দের একজন

চির তরুণ কণ্ঠের রহস্য

গলার ফ্রেশনেস তো থাকতেই হবে। আমার জীবনে এমন হয়েছে, একের পর এক রেকর্ডিং শিডিউল দেওয়া। হঠাত্ সাইনাসের সমস্যা বেড়েছে। আমি সব বাতিল করে বলেছি অন্য কাউকে দিয়ে গাওয়াতে। অনেকেই অবাক হতো, সাইনাসের সমস্যায় কেন সব বাতিল করছি? আমি কোনো আপোস করতে চাইনি। সাইনাসের সামান্য সমস্যা গালাকে আক্রান্ত করতে পারে। ওই তাজা ভাবটাই তখন থাকবে না। সেই ঝুঁকি আমি নেব না। ঈশ্বর জানেন, কোনোদিন নেইনি।

kalerkantho

সলিল চৌধুরীর সঙ্গে

বাঙালিযোগ

বাঙালিদের সবাই খুব ভালোবাসতেন। হেমন্তদার [হেমন্ত মুখোপাধ্যায়] বাড়িতে গেলে উনি দারুণ সুস্বাদু সব খাবার খাওয়াতেন। মাছ-টাছ সবাই থাকত, কখনও সরষে তেলাপিয়া। আমি গলার কথা ভেবে অনেক সসময় দ্বিধা করতাম। উনি বলতেন, খাও লতা, খাও। সলিলদার সঙ্গেও ছিলো দারুণ সম্পর্ক। আমি বাংলায় কথা না বললে সলিলদা রাগ করতেন। মান্নাদাও খুব মজা করতেন। উনার মধ্যে অদ্ভুতরকম শুদ্ধতা ছিলো। আর কিশোরদা তো ছিলেন লাইভ ইন্টারটেইনমেন্ট। কী হুল্লোড়ে মানুষ যে ছিলেন! তাঁর সঙ্গে রেকর্ডিং সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। তাঁর সঙ্গে কাজ মানে যেন মজার এক খেলা। তিনি আমাকে এতো এতো হাসাতেন যে গাওয়ার কথা ভুলে যেতাম।

kalerkantho

মান্না দের সঙ্গে

যার সুরে গাইতে পারেননি

ওপি নায়ার। আমার বোন আশার কণ্ঠ উনার স্টাইলের সঙ্গে বেশি মানানসই ছিলো।

LEAVE A REPLY