সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে না পারলে আকবরের চিকিৎসা হবে না

‘রাইড শেয়ারিং’ মোটর সাইকেলে যাতায়াতের সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন হানিফ সংকেতে ‘ইত্যাদি’তে গান করে পরিচিতি পাওয়া গায়ক আকবর। ব্যথা পেলেও শুরুতে অতোটা পাত্তা দেননি তিনি ৷ কিন্তু পরে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়৷ স্ক্যান করানোর পর মেরুদণ্ডের আঘাত ধরা পড়ে, চিকিৎসক দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেন। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাতে খরচ হবে ৫ লাখ টাকার মতো।  

চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ আকবরের আছে ৷ সমস্যা হলো সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না তিনি৷ সোনালি ব্যাংক শ্যাওড়াপাড়া শাখায় আকবরের নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৷ তবু নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না জানিয়ে আকবর বলেন, ‘অক্টোবরের শুরুতে ভাড়ায় চলা বাইক থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই।

চিকিৎসক বলছেন মেরুদণ্ডের হাড় ও নার্ভের মধ্যে সমস্যা হয়েছে। আমাকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন। গত ৫ মাসেও বিষয়টি নিয়ে কাউকে বলিনি। কারণ আমার কারো কাছে হাত পাততে ইচ্ছে করে না। ভেবেছি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে সেটা ভাঙিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবো, কিন্তু পারছি না। ‘

আজ সকালে ক্র্যাচ নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আকবর। কৌতূহলবশত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদক ৷ তখন আকবর আরো বলেন, ‘আসলে এতোদিন বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে আলাপ করতে চাইনি। কারণ সবাই নানা রকম কথা বলে, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই কেমন যেন হয়ে আসছে। মনে হয়েছে, বিছানায় পড়ে মারা যাব, তবু কাউকে বলব না। এখন সঞ্চয়পত্রগুলো ভাঙাতে পারলে আমি বাঁচব, কিন্তু পারছি তো না।

সঞ্চয়পত্রে ভেঙে টাকা কেন তুলতে পারছেন না? এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আসলে অত কিছু জানি না। একটা আবেদন করেছি, অনেকদিন হলো এখনও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। ‘

এ বিষয়ে সোনালি ব্যাংক শ্যাওড়া পাড়া শাখার ব্যবস্থাপক মঞ্জুর মোরশেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উনাদের যে সঞ্চয়পত্র রয়েছে তার নিয়ম হলো ভাঙানো যাবে না, তিন বছর পরপর সেটা রিনিউ হবে। আর আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখার অনুমোদন পেলে আমরা ভাঙিয়ে দিতে পারবো। উনি যেহেতু অসুস্থ, আমাদেরকে বলেছেন। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি সংশ্লিষ্ট শাখায়, একটা আবেদনপত্র দিয়েছি। এখন হয়তো হয়ে যেতে পারে। ‘

এর আগেও আকবর ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় অভিনেতা ডিপজলের সহায়তায় ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন।

কেলে এফডিসির একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তেজগাঁওয়ের কাছে সড়কদ্বীপে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন গায়ক আকবর। প্রথমে মৃদু ব্যথা থাকলেও পরে প্রকট আকার ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে স্ক্যান করে মেরুদণ্ডের আঘাত ধরা পড়ে, চিকিৎসকরা দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে আকবর বলেন, ‘অক্টোবরের শুরুতে ভাড়ার বাইক থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। চিকিৎসকরা বলছেন, মেরুদণ্ডের হাড় ও নার্ভে সমস্যা হয়েছে। তারা আমাকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে বলেছেন। কিন্তু গত পাঁচ মাসেও বিষয়টি নিয়ে কাউকে বলিনি। কারণ আমার কারো কাছে হাত পাততে ইচ্ছা করে না। ভেবেছি, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২০ লাখ টাকার যে সঞ্চয়পত্র রয়েছে, সেটা ভাঙিয়ে চিকিৎসা করাতে পারব, কিন্তু পারছি না। ‘

এদিন সকালে ক্র্যাচ নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। বললেন, আসলে এত দিন বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে আলাপ করতে চাইনি। কারণ সবাই নানা রকম কথা বলে, বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই কেমন যেন হয়ে আসছে। মনে হয়েছে, বিছানায় পড়ে মারা যাব, তা-ও কাউকে বলব না। এখন ভাবছি, সঞ্চয়পত্রগুলো ভাঙাতে পারলে আমি বাঁচব। কিন্তু পারছি না।

সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা কেন তুলতে পারছেন না? এ বিষয়ে বলেন, আমি আসলে অত কিছু জানি না। একটা আবেদন করেছি, অনেক দিন হলো, এখনো কোনো সাড়া পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে সোনালি ব্যাংক শেওড়াপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক মঞ্জুর মোরশেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ওনাদের যে সঞ্চয়পত্র রয়েছে তার নিয়ম হলো ভাঙানো যাবে না, তিন বছর পরপর সেটা রিনিউ হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখার অনুমোদন পেলে আমরা ভাঙিয়ে দিতে পারব। উনি যেহেতু অসুস্থ, আমাদেরকে বলেছেন। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি সংশ্লিষ্ট শাখায়, একটা আবেদনপত্র দিয়েছি। এখন হয়তো হয়ে যেতে পারে।

এর আগেও আকবর ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় অভিনেতা ডিপজলের সহায়তায় ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY