বায়োপিক নির্মাণে আগ্রহী তিন পরিচালক আনন্দ এল রাই, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা ও সঞ্জয়লীলা বানশালি
চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটারদের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তো আছেই, হালে ভারতে ‘বায়োপিক’ তৈরির মিছিলে যোগ হয়েছে সমাজসেবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ থেকে শুরু করে লেখকদের জীবনও।
বাকি ছিলেন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। সদ্য প্রয়াত এই গায়িকার জীবন অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে এবার।
গায়িকার বায়োপিক নির্মাণে আগ্রহী প্রথম সারির তিন পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানশালি, আনন্দ এল রাই ও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা।
এরমধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বানশালি। দশ বছর ধরে তিনি লতার বায়োপিক করার আইডিয়া নিয়ে ঘুরছেন। বানাতে পারেননি লতা ও তাঁর পরিবারের আপত্তিতে। এবার কি পারবেন? বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গায়িকা প্রয়াত হওয়ার পর বায়োপিক নির্মাণের অনুমতি দিতে পারে তাঁর পরিবার।

লতা মঙ্গেশকর
‘পদ্মাবৎ’, ‘রামলীলা’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’-এর মতো ছবির নির্মাতা বায়োপিক নির্মাণের ক্ষেত্রে যে এগিয়ে থাকবেন বলাই বহুল্য। তবে অন্য দুই নির্মাতার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাকেশ আগে ‘রং দে বসন্তি’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর মতো ছবি বানিয়েছেন। সেভাবে বায়োপিক না বানালেও সাবলীল গল্প বলায় দক্ষতার জন্য পরিচিত ‘তনু ওয়েড মনু’খ্যাত নির্মাতা আনন্দ। তাই তাকেও বাদ দেওয়া যাচ্ছে না।
বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ১৩ বছর বয়সে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া, পরে প্রায় আট দশক ধরে সংগীতে রাজত্ব করা, মাঝে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা চেষ্টা, ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে ঝামেলা মিলিয়ে লতার জীবন অনেক ঘটনাবহুল, আকর্ষণীয়। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণে অনেকদিন থেকেই আগ্রহী পরিচালকরা। তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে চান না বলেই বারবার তা ফিরিয়ে দিয়েছেন লতা।
সূত্র : বলিউড হাঙ্গামা