কৃষক বাবার একমাত্র মেয়েটির প্রাণ কেড়ে নিল দানব ট্রাক্টর

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল স্কুলছাত্রী উর্মি আক্তার। কিন্তু পথে মাটিবোঝাই ট্রক্টরচাপায় প্রাণ হারাল সে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ সদরের আয়লা এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উর্মি আক্তার উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের কৃষক রতন মিয়ার মেয়ে এবং নিয়ামতপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

উর্মি ওই কৃষকের একমাত্র মেয়ে ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সহপাঠীদের নিয়ে একটি ইজি বাইকে গাদাগাদি করে বসে বাড়ি ফিরছিল উর্মি। আয়লা এলাকায় ইজি বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় সে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টর তাকে চাপ দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। ট্রাক্টরটিও রাস্তার পাশে খাদে গিয়ে পড়ে।  

খবর শুনে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা নূর হোসেন, এসি ল্যান্ড উম্মে হাফছা নাদিয়া ও করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  

এ সময় উত্তেজিত জনতা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ কারণে করিমগঞ্জ-চামড়াবন্দর সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ট্রাক্টরচালকের বিরুদ্ধে আইনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে লোকজন রাস্তা থেকে সরে গেলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

খবর পেয়ে উর্মির বাবা রতন মিয়া ও  দুই ভাই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের বিলাপ দেখে উপস্থিত লোকজনের চোখও ভিজে যায়। তার মা রুনা আক্তার জ্ঞান হারালে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রাক্টরটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

LEAVE A REPLY