চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে বিজয়ী হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করলেন রোজিনা। বৃহস্পতিবার ই-মেইলে লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ‘অবিচার’ ছবির অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর এই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোজিনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র নিয়ে আমার লোক গিয়েছিল শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে।
সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পেয়ে চলে আসে, পরে ই-মেইল করে দিয়েছি। ’
কেন আকস্মিক এই পদত্যাগ? শিল্পী সমিতির নির্বাচন ও পরবর্তী সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে বিরক্ত হয়ে বা কোনো বিষয়ে প্রভাবিত হয়ে পদত্যাগ করেছেন কি না জানতে চাইলে রোজিনা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি নিজের কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সময় যদি দিতে না পারি তাহলে এ পদে থেকে লাভ কী? আর নিয়মও তো আছে, পরপর তিনবার যদি নির্ধারিত মিটিংয়ে উপস্থিত না হতে পারি, তাহলে পদ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, তখন যদি আমাকে নোটিশ দিয়ে দিল বা সদস্যপদ বাতিলের মতো কিছু ঘটে, এসব ভেবেই নিজেকে সরিয়ে নিলাম। ’

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন এফডিসিতে রোজিনা, সঙ্গে মৌসুমী, অমিত হাসান ও অপু বিশ্বাস
ধারণা করা হচ্ছে, রোজিনাকে বেশ অনুরোধ করেই শিল্পী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আনা হয়েছিল। তাঁর কথায় কিছুটা সেই আভাসও পাওয়া গেল। একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এর আগেও আমি চার বছর দায়িত্ব পালন করেছি। তখনো বলেছিলাম, অত সময় দিতে পারব না। অনেক সময় দেশে থাকি না, দেশে থাকলেও অনেক সময় পারিবারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তখন ওনারা বলেছিলেন, আপনাকে সময় দিতে হবে না, আপনারা সিনিয়র মানুষ, থাকলে অনেক ভালো হয়, বিশেষ কোনো মিটিং থাকলে আমাদের চলচ্চিত্র বা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো মিটিং হলে ঢাকায় থাকলে আসবেন। আমি সে সময় যা বলেছিলাম, তা ওনারা মেনে নিয়েছিলেন। ’
রোজিনা মনে করছেন, তখন হয়তো তার অনুপস্থিতি বা কম উপস্থিতি মেনে নিয়েছিল কমিটি, কিন্তু এবারের কমিটি যদি মেনে না নিয়ে নোটিশ দেয়, তাহলে সেটা সম্মানজনক হবে না। এ জন্যই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে এসেছেন। রোজিনা বলেন, ‘বিষয়টি আমি কাঞ্চন সাহেবকেও বুঝিয়ে বলেছি। ’
১৮৫ ভোট পেয়ে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন রোজিনা। এর আগেও দুই মেয়াদে একই প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।