ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন চেলসি

প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। শনিবার রাতে আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ইংলিশ ক্লাবটি। এর আগে ২০১২ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল চেলসি, সেবার আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়াসের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল চেলসির। তবে এবার আর সে পথে হাঁটেনি থমাস টুচেলের দল।

প্রথমার্ধে দুই দলই তেমন সুযোগ বানাতে পারেনি। বল দখলের লড়াইয়ে নামে দুই দল।  

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেলসি এগিয়ে গেলে দ্রুতই সমতায় ফিরে পালমেইরাস। নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোল শূন্য সমতায় থাকার অতিরিক্ত সময়েই বাজিমাত করে চেলসি। তৃতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ব্লুজরা। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল এই শিরোপা জিতেছিলো। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের এবারই প্রথম ফাইনালে ওঠে, কিন্তু রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান থিয়াগো সিলভার দূরপাল্লার গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পালমেইরাসের গোলরক্ষক ওয়েভারটন। ৫৫ মিনিটে হেডে দুর্দান্ত গোল করে চেলসিকে এগিয়ে নেন বেলজিয়ান তারকা রোমালো লুকাকু। বাঁ দিক থেকে হাডসন উদোর মাপা ক্রসে বক্সের ভেতরে খানিকটা লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই বেলজিয়ান তারকা। সেমিফাইনালেও লুকাকুর গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ব্লুজরা।

৬৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। চেলসির ডি বক্সে থিয়াগো সিলভার হাতে বল লাগলে ভিএআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি রাফায়েল ভেইগা।

৭৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের নিচু শট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোলশূন্য সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানেই বাজিমাত চেলসির। ১১৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে চেলসির শিরোপা নিশ্চিত করেন কাই হ্যাভার্টজ। পালমেইরাসের ডি বক্সে লুয়ানের হাতে বল লাগলে ভিএআর চেকে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। হাতে বল লাগায় হলুদ কার্ড দেখেন লুয়ান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দশ জনের দলে পরিণত হয় পালমেইরাস। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুয়ান।  

২০২০-২১ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায় চেলসি এবং কোপা লিবারতোদোরেস জয় করে সুযোগ পায় পালমেইরাস।

LEAVE A REPLY