রাতে মাঠে নামছে লিভারপুল-বায়ার্ন-ইন্টার

খেলা হওয়ার কথা ছিল সলসবুর্গের মাঠে। কিন্তু ড্রয়ের সময় উয়েফার ‘টেকনিক্যাল ভুলে’ লিভারপুলের আজকের প্রতিপক্ষ বদলে এখন ইন্টার মিলান। অস্ট্রিয়ার বদলে তাই সান সিরোয় অগ্নিপরীক্ষা মোহাম্মদ সালাহ-সাদিও মানেদের। নতুন ড্রতে সলসবুর্গ পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।

সেই ম্যাচও আজ। দুটি ম্যাচই শুরু হবে রাত ২টায়।

এক দশক পর চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউটে ফিরেছে ইন্টার মিলান। এমন সময়ে কিনা হারিয়েছে ছন্দ। সিরি ‘এ’তে সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। ইংল্যান্ডের দলগুলোর বিপক্ষে নক আউটের পরিসংখ্যানও পক্ষে নেই। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর তিনবার বাদ পড়তে হয়েছে তাদের সঙ্গে হেরে। ২০০৭-০৮ মৌসুমে লিভারপুল, ২০০৮-০৯-এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর ২০০৯-১০-এ শেষ ষোলো থেকে বিদায় চেলসির কাছে হেরে। তবে সান সিরোর রেকর্ড আশা জাগাতে পারে। ২০২১ সালের পর সান সিরোয় খেলা ৩০ ম্যাচে ইন্টার হেরেছে মাত্র তিনটি।

লিভারপুল সান সিরোয় আসছে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বেও জিতেছে সবগুলো ম্যাচ, গোল ১৭টি। গ্রুপ পর্বে তারা দুই লেগে হারিয়েছে ইন্টারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে। ২০১০-১১ মৌসুমে টটেনহামের পর এবার দুই মিলানকে হারানোর সুযোগ লিভারপুলের সামনে। এর আগে ইন্টারের বিপক্ষে চার ম্যাচ মুখোমুখি হয়ে তিনটিতে জিতেছে লিভারপুল, হার একটিতে। ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে হারানো তাই সহজ হবে না ইতালির শীর্ষ লিগের দুইয়ে থাকা ইন্টারের।

চোটের জন্য ইন্টার আজ পাচ্ছে না হোয়াকিন কোররেয়া ও রবিন গোজেনেসকে। কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞায় নেই নিকোলো বারেল্লা। ওদিকে লিভারপুলের মো সালাহ, সাদিও মানে, ডিয়েগো জোতা, রবার্তো ফিরমিনোরা কাঁপিয়ে দিতে পারেন যেকোনো দলের রক্ষণ।

অস্ট্রিয়ার প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউটে সলসবুর্গ। আজ সামনে জার্মান ঐতিহ্যবাহী দল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মানির দলগুলোর বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটি হেরেছে সলসবুর্গ। এই দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছয়বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী বায়ার্ন। সলসবুর্গের নক আউট অভিষেক সহজ হওয়ার কথা নয় তাই।  

LEAVE A REPLY