‘গড়ে ৬৮৯ দিন আশ্রয় প্রার্থী-শরণার্থীদের আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া’

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইআরডব্লিউর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক ভয়ংকর তথ্য। সংস্থাটি বলছে, অস্ট্রেলিয়া আশ্রয় প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের গড়ে ৬৮৯ দিন আটকে রাখে। দেশটির এমন অভিবাসন নীতির নিন্দাও করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। খবর বিবিসি।

করোনা টিকা না নেয়ায় টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচকে ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া। সেই ঘটনা ঘাঁটতে গিয়েই এমন ভয়াবহ তথ্য আসে এইআরডব্লিউর হাতে। একই নিয়মে এখনো বেশকিছু আশ্রয় প্রার্থী ও শরণার্থীকে আটকে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। জকোভিচকে যে ভবনে রাখা হয়েছিলো সেখানেই ২৪ বছর বয়সী এক ইরানি নাগরিককে দুই বছর ধরে বন্দি রাখা হয়েছে। কখন তাকে মুক্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সরকারি তথ্য ঘেঁটে এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের বন্দি রাখার সময়সীমা আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে। এর আগে কখনো এমনটা ঘটার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়াতে নেই। পশ্চিমা বিশ্বের বেলাতেও যেটা বিরল ঘটনা। 

অন্যান্য দেশ অবস্থা বিবেচনায় আশ্রয় প্রত্যাশীদের মুক্তভাবে চলাচলে সুযোগ দেয়। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার নৌকায় করে সে দেশে পৌঁছানো মানুষদের বাধ্যতামূলকভাবে ডিটেশন সেন্টারে রাখে। কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা ছাড়াই একই নিয়মে এ পর্যন্ত সাড়ে চৌদ্দশ’র বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ অন্তত ১১৭ জন আশ্রয় প্রত্যাশীকে পাঁচ বছর ধরে আটকে রেখেছে। যাদের আট জন আবার এক দশকের বেশি সময় ধরে বন্দিশালায় আছেন। গবেষক সোফি ম্যাকনেইল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনে শরণার্থী কিংবা আশ্রয় প্রার্থীদের আটকে রাখার বিধানকে শান্তি হিসেবে ব্যবহার করার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বছরের পর বছর তেমনটাই করছে।’

LEAVE A REPLY