অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ৫৯ বছর পর সাদা হাঙরের কবলে পড়ে এক সাঁতারুর মৃত্যু হয়েছে। খুনি সেই হাঙরকে ধরতে খোঁজ শুরু করেছে দেশটির সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার থেকেই সিডনির বেশির ভাগ সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাঙরের নৃশংসতার পর গতকাল বুধবার থেকেই অবশ্য সাঁতারুদের পানিতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সিডনির পূর্বাঞ্চলের ‘লিটল বে’ এলাকায় ওই পুরুষ সাঁতারুকে থেঁতলে দিয়েছে হাঙরটি। যদিও সেই সাঁতারুর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি সরকারি কর্মকর্তারা। ওই ব্যক্তি উপকূলের কাছাকাছি পানিতে সাঁতার কাটছিলেন।
সিডনিতে হাঙরের হামলার ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। কারণ শহরটির পাশের বিশাল জলরাশিজুড়ে জাল এবং অন্যান্য প্রতিরোধক দেওয়া আছে।
হাঙরটিকে খুঁজে বের করার জন্য শহরের পূর্ব দিকের বন্ডি থেকে দক্ষিণে ক্রোনুলা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পানিতে টহল দেওয়া হয়েছে জেট স্কিতে সার্ফ করে। অভিজ্ঞরা এ কাজে অংশ নিয়েছেন। ওই সময় হেলিকপ্টার এবং ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, হাঙর বিশেষজ্ঞরা খুনিটিকে ‘অন্তত তিন মিটার’ লম্বা সাদা হাঙর বলে অনুমান করেছেন। সাঁতারুকে হাঙরে থেঁতলে দেওয়ার সময় সাধারণ এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করেছিলেন। সেই ভিডিও দেখে তাঁরা এটি মনে করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ক্রিস লিন্তো বলেছেন, ‘(নিহত ব্যক্তি) সাঁতার কাটছিলেন এবং একটি হাঙর সেখানে এসে উলম্বভাবে আক্রমণ করে। আমরা চিৎকার শুনতে পেলাম এবং ঘুরে দাঁড়ালাম। দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটি গাড়ি পানিতে নেমে গেছে; তারপর হাঙর দেখতে পাই। ‘
আরেক ব্যক্তি বলেছেন, ‘এটা ছিল ভয়াবহ। আমি কেঁপে উঠেছি। আমি বমিও করেছি। এটা খুব খুবই মন খারাপের। ‘
হাঙরের হামলার দুই ঘণ্টা পর সাঁতারুর দেহের বিভিন্ন অংশ পানি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি।