রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবেই : যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে জোর কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি উভয়পক্ষে সামরিক তৎপরতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ইউক্রেন এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলভিত্তিক রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে গোলা বিনিময়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবারও বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবেই। গোলা বিনিময়ের ঘটনায় ‘রাশিয়ার আগ্রাসন অত্যাসন্ন’ হয়ে উঠেছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, পার্স টুডে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেন, সম্ভাব্য হামলাকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মস্কো একটি অজুহাত প্রস্তুত করছে।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোরে অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী ও  বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে দফায় দফায় গোলা বিনিময় হয়। এদিকে এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। ইউক্রেন বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে গোলা বিনিময়ের ঘটনাকে উল্লেখ করে পশ্চিমা দেশগুলোও দাবি করেছে, যে কোনো সময় ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেন, রাশিয়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা করবে। হামলা চালাবে বলেই তারা ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত করেছিলেন, ‘বুধবারই (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে।’ কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেলেও রাশিয়া এ পর্যন্ত কোনো হামলা চালায়নি। উল্টো রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়, যুদ্ধ বাধানোর জন্য পশ্চিমা শক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’তে ভুগছে। এ ছাড়া রাশিয়া আবারও বলেছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই। বরং রাশিয়া চায় পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের বিস্তার রোধ করা হোক এবং ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি বন্ধ করা হোক। অপরদিকে মার্কির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন রাশিয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে কী করতে চায়- তার একটা বিহিত হওয়া দরকার।’

রাশিয়ার ডাকা বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র : আগামী সপ্তাহের শেষদিকে ইউরোপে আয়োজিত বৈঠকে বসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ডেকেছে রাশিয়া। এ আহ্বানে সাড়াও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে মার্কির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান আলোচনা।’ খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ডাকা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এদিকে এরই মধ্যে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এ-২০ ভার্চুয়াল সম্মেলন। এতে আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে ইউক্রেন। খবরে উল্লেখ করা হয়, এই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে রুশ বিরোধী শক্তিগুলোকে একজোট করার প্রক্রিয়া চলতে পারে।

LEAVE A REPLY