‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ দিয়ে ফের চালু হচ্ছে রংপুরের শাপলা টকিজ

রংপুরের শাপলা টকিজের সামনে বাপ্পী চৌধুরী। ছবি : অভিনেতার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।

দেড় যুগ আগেও রংপুর শহরেই ১০টি সিনেমা হল ছিল। ২০১১ সালেও শাপলা টকিজ, দরদী ও লক্ষ্মী সিনেমা হলে সিনেমা চলছিল। তার পরেই বন্ধ হয়ে যায় দুটি। টিকে থাকে শুধু শাপলা টকিজ।

দশ থেকে হলের সংখ্যা নেমে এসেছিল এক-এ। সেই এক শূন্য হয়ে যাওয়ার পথেই ছিল। ১৯৭৮ সালে চালু হওয়া এই সিনেমা হলটি বন্ধ ছিল প্রায় তিন মাস ধরে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ দিয়ে হলটি ফের চালু হতে যাচ্ছে।
১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ছবিটি তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চলবে রংপুর শহরের একমাত্র হলটিতে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ছবিটির অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাস, বাপ্পী চৌধুরী ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস শাপলা টকিজের নতুন যাত্রায় শামিল হবেন।

kalerkantho

‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ ছবির একটি দৃশ্যে অপু বিশ্বাস ও বাপ্পী চৌধুরী।

অবশ্য ছয় দিন আগেই, শনিবার রংপুরের ওই বন্ধ হলের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেল অভিনেতা বাপ্পীকে। রংপুর পুলিশ আয়োজিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’-এর বিশেষ এক প্রদর্শনীতে অংশ নিতে রংপুর শহরে গিয়েছিলেন অভিনেতা। এক ফাঁকে ঘুরে এলেন শাপলা টকি। হলের সামনে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বাপ্পী লিখেছেন, “বন্ধ হলগুলো আবারও খুলুক, দেখতে চাই না আর কোনো হলের গেটে তালা। ২৫ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী শাপলা টকিজ নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে ফের চালু হতে যাচ্ছে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ দিয়ে!”

এ বিষয়ে কথা হয় শাপলা টকিজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “সর্বশেষ এখানে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি চালিয়েছি। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ দিয়ে হলটি ফের চালু হবে। ”

পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। বললেন, ‘আমার কাছে সিনেমা হল মন্দিরের মতো। আমার সিনেমা দিয়ে সিনেমা খুলে যাচ্ছে মানে প্রার্থনা দিয়ে মন্দির খুলে যাচ্ছে। আমি বলব এই ছবি হিট। সিনেমা নিয়ে মানুষের এত আবেগ, এত ভালোবাসা আমি অনেক দিন দেখিনি। বন্ধ সিনেমা হল খুলছে শুধু আমার সিনেমা দিয়ে, এটা আমার জীবনে আগে কখনো হয়নি। আমি অভিভূত। ’

২০২০ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তির পর খুব কম ছবি নিয়েই সাধারণ দর্শকের আগ্রহ দেখা গেছে, তার মধ্যে অন্যতম ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’। একই সঙ্গে হাউসফুল ও দর্শকখরা—ঢাকার হলগুলোতে দুই রকম চিত্রই দেখা গেছে। এতেই খুশি ছবিটির নির্মাতা।

LEAVE A REPLY