ইমরুলের অভিমান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুটি শিরোপা জিতে মাশরাফির পর দ্বিতীয় সফলতম অধিনায়ক হয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস। ২০১৯ সালের পর থেকে জাতীয় দলে ডাক পাননি, তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-২০২২ শিরোপা জয়ের পর আবারও আলোচনায় এসেছেন ইমরুল কায়েস। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই আলোচনায় থাকেন তিনি। তবে সেটি সমর্থকদের বিদ্রুপের কারণে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু অনুসারী অনেক সময়ই ইমরুল কায়েসকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মাতে, জার্সি নম্বর থেকে শুরু করে ইমরুল কায়েসের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে নানা ধরনের ট্রল, মিম ও সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট দেখা যায়। জাতীয় দলের বাইরে থাকার পরও তাকে নিয়ে এই আলোচনা কেন? প্রমিথ রায়হানের মতে, ইমরুল কায়েসের চলন-বলন তারকাদের মতো নয়, এটা তার পাবলিক ইমেজের ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

ইমরুল কায়েস জানেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে তাকে ‘ব্রো’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়। এতে অবশ্য তার আপত্তিও নেই। কিন্তু কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানালেন, এই বিদ্রুপগুলো ইমরুলকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি বলেন, ‘একেকজনের মানসিকতা একেক রকম, ওকে যে সবাই একটু হলেও অবহেলা করে সেটা যদি জেদ হিসেবে কাজ করত তাহলে কিন্তু ভালো হতো। যেটা হয়, ওকে অবহেলা করলে ইমরুল আরো মানসিকভাবে নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। ‘

সমর্থকদের এই বিদ্রুপ নিয়ে ইমরুল বলেন, ‘দেখেন, বাংলাদেশে ভালো খেললে অনেককে মুহূর্তেই অনেক ওপরে তুলে দেওয়া হয়, আবার খারাপ খেললে একেবারে তুলাধুনা করা হয়। এটা রেগুলার। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগটা আমার জন্য অন্য রকম একটা অভিজ্ঞতা। বড় বড় টিমের ক্রিকেটার। ড্রেসিংরুম শেয়ার করা মাঠে ওদের সাথে খেলা, আমি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছি মাঠে, সেটা ওরা মেনে নিয়েছে। ‘

আর জাতীয় দলে বছরের পর বছর অবহেলার শিকার হওয়া নিয়ে ইমরুলের বক্তব্য, ‘আমি আর এসব ভাবি না। যদি ভালো খেলি সুযোগ পাব, না হলে ডাক পাব না। ‘ তবে নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, ‘নির্বাচকরা যদি ইমরুলকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পাশে থাকতেন, তাহলে সে অনেক ভালো করতে পারত।  যখন একজন ক্রিকেটার জানে যে অন্যদের মতো পারফর্ম করলে দলে সুযোগ মিলবে না, অন্যদের চেয়ে ভালো করতে হবে, সেটা একটা মানসিক চাপ। ‘

– বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অবলম্বনে

LEAVE A REPLY