কিংসের টানা ‘চার’

ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনায় রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে তারা। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোবিনহো-ইব্রাহিমরা। তিন বিদেশি ছাড়াই পুরো ম্যাচে আলো ছড়িয়ে কিংসের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন রবসন রোবিনহো।

এক গোলের পাশাপাশি বাকি দুই গোলে করেছেন সাহায্য।

টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এল বসুন্ধরা কিংস। পাঁচ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১২। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে এগারতম স্থানেই থাকল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস এন্ড সোসাইটি।

কিংস অ্যারেনায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক অস্কার ব্রুজোন শিষ্যরা। শেষ তিন ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরুর ২০ মিনিটে দু’দফা আক্রমণে গিয়েও গোলের দেখা পায়নি। নিজেদের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেখ জামালের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করা রহমতগঞ্জ প্রথম আক্রমণেই গোল আদায় করে নেয়। তবে দ্রুত ম্যাচে ফিরে আবার এগিয়েও যায় কিংস। তবে প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তুলে অতিথিরা। দ্বিতীয়ার্ধে বাজিমাত করে কিংস। নিজেদের রক্ষণ সামলিয়ে জয়সূচক গোলও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

১৮মিনিটে রবসন রোবিনহোর ফ্রি-কিকে এলিটা কিংসলের গতির হেড জাল খুঁজে পায়নি। পরের মিনিটেই রোবিনহোর ফ্রি-কিক ক্রস বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণে উঠেই বাজিমাত করে অতিথিরা। সানডে চিজোবার গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। মাহামুদুল হাসান কিরণের কর্নারে হেড করেন সানডে। গোললাইন থেকে ইব্রাহিম ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও তা পারেনি। পিছিয়ে পড়া কিংস ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি।

৩২ মিনিটে রহমতগঞ্জের বক্সে জোরালো আক্রমণ করে ম্যাচে সমতা টানে বসুন্ধরা কিংস। ডি বক্সের ভিতর থেকে রহমতগঞ্জের গোলমুখে কয়েক সেকেন্ডে তিনবার আক্রমণ করেন রোবিনহো-ইব্রাহিমরা। তৃতীয়বারের আক্রমণে জনির সঙ্গে দুই বার বল দেওয়া নেওয়া করে ছোটো ডি বক্সের বাম কোন থেকে দৃষ্টিনন্দন চিপ শটে গোল করেন রবসন রোবিনহো। লিগে রোবিনহোর এটি চতুর্থ গোল।

৪৪ মিনিটে রোবিনহো-ইব্রাহিমের রসায়নে ম্যাচে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠের খানিকটা সামনে থেকে রোবিনহোর মাপা ক্রস গিয়ে ইব্রাহিমের পায়ে, দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে রহমতগঞ্জ। স্পট কিকে গোল করেন সানডে চিজোবা। ডান দিকে ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি জিকো।  

৫৯মিনিটে সোহেল রানার কর্নারে ফাকা পোস্টে হেড করলেও জালে জড়াতে পারেনি কেষ্ট কুমার। অবশেষে ৭৫মিনিটে জয়সূচক গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা কিংস। রবসন রোবিনহোর কর্নারে গতির হেডে বল জালে জড়ান বদলি নামা ইয়াসিন আরাফাত। ৮৮ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন সানডে চিজোবা। গোলরক্ষক জিকোকে একা পেয়েও বল মারেন বাইরে। চোখে-মুখে হতাশা দেখা যায় সানডের।  

কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচে পুলিশ এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস।

LEAVE A REPLY