যে ৫টি ভুলে কিটো ডায়েটে ওজন কমে না

স্বাস্থ্য সচেতন সবাই মোটামুটি কিটো ডায়েটের বিষয়ে অবগত। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এখন অনেক জনপ্রিয় কিটো ডায়েট। এই ডায়েটে ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে কার্ব লেভেল কমতে থাকে। তবে এই ডায়েটে সঠিক নিয়ম মেনে না চললে অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারে।

আপনি যদি শুরুর দিকে থাকেন তাহলে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। কিটো ডায়েট করতে যেয়ে মানুষ যে ৫টি সাধারণ ভুল করে থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

দ্রুত পরিবর্তন আনা:

ডায়েটের নিয়মই হলো আস্তে আস্তে শুরু করা। ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনলে এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন ডায়েটে থাকতে সাহায্য করবেএবং দ্রুত ওজন কমানোর আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

আপনার খাদ্য থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিন এবং তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া শুরু করুন। এই ফ্যাট হলো শরীরে যে কার্বহাইড্রেট গ্রহণ করা হচ্ছে না তার ভারসাম্য বজায় রাখে।

কিটো ফ্লুর জন্য প্রস্তুত না থাকা:

কিটো ডায়েট করলে কেটো ফ্লুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যখন আপনি কিটো ডায়েট শুরু করবেন অর্থাৎ আপনার শরীর থেকে ফ্যাট বার্ন হওয়া শুরু হবে। কেটো ডায়েটের প্রথম সপ্তাহে পেশী ব্যথা, বমি বমি ভাব, ব্যথা এবং ক্লান্তি লাগতে পারে। সুতরাং, এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতন এবং প্রস্তুত হওয়া উচিত। আপনি যদি এই উপসর্গগুলো লক্ষ্য না করেন তবে আপনার ডায়েট সফলভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন না।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে  পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান নাপ করা:

ফ্যাট বেশি এবং কার্ব কম খাওয়ার কারণে শরীর অনেক বেশি ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। আর পানি কমে যাওয়ার কারণে অনেক সমস্যা হতে পারে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া যথেষ্ঠ পানি পান না করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে পারেনা।   এজন্য এই ডায়েট চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন।

প্রোটিনের পরিমাণ ঠিক না থাকা:

একটি আদর্শ কিটো ডায়েটে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কার্ব, ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রোটিন এবং ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফ্যাট থাকে। প্রোটিন  যদি ঠিক পরিমাণে গ্রহণ না করা হয় তবে ডায়েটে সমস্যা তৈরি হয়। প্রোটিনের কম বেশি বা ফ্যাট গ্রহণে অতিরিক্ত ভয় শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। এতে করে শেষ পর্যন্ত কিটো ডায়েট থেকে কোন লাভ পাওয়া যায় না।

পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো:

পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং আপনার বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য উভয় কারণই অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, আপনার শরীর ক্লান্ত হয়। ক্লান্তি আপনাকে  প্রচুর পরিমাণে খেতে বাধ্য করতে পারে এবং মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে। ওজন কমাতে এবং আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

LEAVE A REPLY