থাইল্যান্ডের কো সামুই দ্বীপে নিজ বাসায় হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্ন। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকালীন শ্রেষ্ঠত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শেন ওয়ার্ন। টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়া সিনিয়র দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটেই তার ক্যারিয়ারে একাধিক চড়াই উতরাই রয়েছে। আসুন একনজরে দেখে নেয়া যাক সেই সব চড়াই উতরাই।
১. টেস্ট অভিষেক-
১৯৯১/৯২ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেই ম্যাচে বল হাতে ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারলেও তিনি ব্যাট হাতে ৬৭ বলে ২০ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন।
২. টেস্ট অভিষেকে খারাপ পারফরম্যান্স-
অভিষেক টেস্টে বল হাতে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি শেন ওয়ার্ন। ভারতের বিরুদ্ধে ৪৫ ওভার বল করে ১৫০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সেই ম্যাচে রবি শাস্ত্রীর উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। রবি শাস্ত্রী ২০৬ রান করেছিলেন সেই ম্যাচে।
৩. এক টেস্ট ইনিংসে সেরা বোলিং-
১৯৯৪/৯৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাসেজ সিরিজে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বোলিং করেছিলেন তিনি। সেই সিরিজের ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৫০৮ রান। সেই ম্যাচেই ইংল্যান্ড দলকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন ওয়ার্ন। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করেন তিনি। ৭১ রান দিয়ে নেন ৮ টি উইকেট।
৪. ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে বিতাড়িত হয়ে বাড়ি ফেরত-
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শেন ওয়ার্নের ক্যারিয়ারে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের কারণে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইসিসি। ফলে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই তাকে দেশে ফিরতে হয়। ফলে ক্রিকেট থেকে তাকে ১ বছর নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
৫. টেস্টে হ্যাটট্রিক-
১৯৯৪/৯৫ সালে অ্যাসেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন শেন ওয়ার্ন। সেই ম্যাচে ফিল ডেফ্রিটার্স, ড্যারেন গফ এবং ডেভন ম্যালকমকে পরপর প্যাভিলিয়নে ফেরান শেন ওয়ার্ন।
৬. ২০০৫ সালে অ্যাসেজ হার-
২০০৫ সালের অ্যাসেজ সিরিজে শেন ওয়ার্ন বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। তিনি সিরিজে ৪০টি উইকেট নেন। পাঁচ ম্যাচের সেই সিরিজে অবশ্য অজিদের ২-১ ফলে হারতে হয়েছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।টিআর