বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের স্বেচ্ছাচারী মনোবৃত্তি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য নেতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের এই টিম ডিরেক্টর মনে করেন, সাকিব যখন-তখন জাতীয় দলের হয়ে না খেলার ঘোষণা দিচ্ছেন, যা ঠিক নয়। এই আচরণ আসলে মেনে নেওয়ার মতো নয়।
‘সাকিবে আচরণ তরুণদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে’―এমন প্রশ্নে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘এটা তো আমি বলতে পারব না।
প্রভাব পড়তেও পারে, নাও পড়তে পারে। সাকিব একটু এ রকম আমরা সবাই জানি। তবে এটা মেনে নেওয়াটা অবশ্যই ঠিক না। কারণ সাকিব-রিয়াদ-মুশফিক-তামিম, মাশরাফি যেহেতু নেই, তাই ওর কথা না বললাম… এরা তো সেই ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলের পাইপলাইন ধরে উঠে এসে এত বড় ক্রিকেটার হয়েছে। ওদের পেছনে তো দেশের ক্রিকেটের ইনভেস্ট অনেক। তো আমার কথা হচ্ছে, দেশের যখন প্রয়োজন তখন ওদের পেতে হবে। এটা তো পাপন ভাইয়ের টিম না, বাংলাদেশ দল। দেশের হয়ে খেলাটাই তো বড় বিষয়। ‘
সাকিবের ওপর যে মানসিক চাপ পড়তে পারে―তার সপক্ষে সুজন বলেন, ‘আমাদের সময় এত খেলা ছিল না, এত চাপও ছিল না। সাকিবদের ওপর এখন অনেক প্রত্যাশার চাপ থাকে। তাই তারা মানসিকভাবে সব সময় ফিট নাও থাকতে পারে। ছুটিও চাইতে পারে। কিন্তু সেটা তো আগে বলতে হবে। সে তো ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজে খেলতে রাজি হয়েছিল। তারপর আবার কেন এই কথা বলল, বলতে পারব না। সেটা সাকিবই বলতে পারবে। সাকিব এসে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে যদি যেতে রাজি হয় তো ভালো, না হলে আমাদের সেভাবেই চিন্তা করতে হবে। আমি মনে করি যে কারো জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট বসে থাকবে―এটা ভাবা ভুল। আপনাদের এই ভাবনাটা ছাড়তে হবে। সে খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। দুই-তিন বছর পর তারা থাকবে না। তার মানে এই নয় যে খেলা বন্ধ হয়ে যাবে। তরুণরা উঠে আসছে। তারা ভালো পারফর্ম করছে। তবে বিসিবি সব সময় চায়, সেরা টিমটাই খেলুক। ‘
সাকিবকে ছাড়া কবে থেকে টিম নিয়ে ভাবা হবে―এমন প্রশ্নে সুজনের বক্তব্য, ‘সাকিবকে ছাড়াই তো টিম করছি এখন। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতলাম সাকিব-তামিম ছাড়া। তারা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। বড় খেলোয়াড়। তারা যদি না খেলতে চায় তাহলে তো জোর করে পারফরম্যান্স আদায় করতে পারবেন না। তারা খেললে দেশের জন্য ভালো। আর তারা না খেললে দেশের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে না। তাদের জায়গায় যে ক্রিকেটার সুযোগ পাবে সে উঠে আসবে। ‘