স্পষ্টবাদী হিসেবে টালিউডে যথেষ্ট নাম রয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। বরাবরই অকপটে নিজের মনের কথা মুখে বলতেই ভালোবাসেন এ অভিনেত্রী। যার জেরে প্রায় ট্রলারের শিকার হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কে কি বলল তা নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না অভিনেত্রী। বরং জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই নিজের জন্য বাঁচেন অভিনেত্রী। তাই নিজের জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে যখন যেটা করতে মন চায় সেটাই করেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেত্রী।
‘বডি শেমিং’ তথা শরীর নিয়ে কু-মন্তব্য এবং চেহারার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বেশিরভাগ নারীকে। নারী দিবসে এই নিয়েই আপত্তি তুললেন শ্রীলেখা মিত্র নিজের সাক্ষাৎকারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারীদের শরীর নিয়ে উপহাসের বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
অভিনেত্রী জানান, ‘আমাকে এখনও শুনতে হয়, ‘তুমি এত মোটা হয়ে গিয়েছ কেন?’, ‘কীভাবে এত ওজন বাড়ল তোমার’, ‘মোটা হওয়ার পরও ছোট পোশাকে ছবি তুলতে লজ্জা করে না?’- এ রকম নানান প্রশ্ন।
‘বডি শেমিংয়ে আমি সম্প্রতি সময়ে বিরক্ত। কীভাবে কেউ কোনো মানুষকে তার চেহারা, তার গায়ের রং বা তার উচ্চতা দিয়ে বিচার করতে পারে? আমার মেয়ের জন্মের পর আমার ওজন বেড়েছে। আর এটা যে কোনো মায়ের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু বলুন তো, কেন মানুষ ইচ্ছে হলেই এই নিয়ে মন্তব্য করবে?’
তিনি আরও জানান, ‘এরকম অনেকবার হয়েছে পরিচালক আমাকে ফোন করে বলেছে তিনি আমাকে কাজ দিতে পারবেন না কারণ আমার ওজন বেশি। ভাবুন তো? তার পর আমি এটা বুঝতে পারি আমাকে ওজন কমাতে হবে কি হবে না, সেটা আমি ঠিক করব। আমিই ঠিক করব কোন পোশাকে আমাকে ভালো দেখায়, কোন পোশাকে খারাপ।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠরাও আমাকে পরামর্শ দিয়েছে আমার নিজেকে ঢেকে রাখা উচিত কারণ আমার ফিগার ভালো না। কিন্তু আমি সত্যি এসব নিয়ে ভাবিত নই, পাত্তাও দিই না। কারণ আমি জানি, কীভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শর্ট ড্রেস ক্যারি করতে হয়।’