এটা রাশিয়ার আরো একটি মিথ্যাচার: ন্যাটো

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ন্যাটো দাবি করছে, আরও একটি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে রাশিয়া। 

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ। 

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জৈবিক ল্যাব এবং রাসায়নিক অস্ত্র সম্পর্কে অযৌক্তিক দাবি করছে রাশিয়া। এটা তাদের আরো একটি মিথ্যাচার প্রচারণা। আমরা উদ্বিগ্ন যে, সম্ভবত রাসায়নিক অস্ত্রসহ মস্কো একটি মিথ্যা পতাকা অভিযান পরিচালনা করতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, গোটা বিশ্ব এই অর্থহীন যুদ্ধের নিন্দা করেছে। ন্যাটো মিত্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশ রাশিয়ার উপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নৃশংস আগ্রাসন ইউক্রেনে প্রতিদিনই মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনছে। এটি বিশ্বকে হতবাক করেছে। এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে নাড়া দিয়েছে।

রাশিয়া বারবার মিথ্যার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে ন্যাটোপ্রধান বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমরা রাশিয়ার মিথ্যার দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেছি। তারা দাবি করেছিল যে, তারা ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা করেনি। কিন্তু তারা করেছে। তারা দাবি করেছে যে, তারা তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করছে। কিন্তু তারা উল্টোটা করেছে। আরও বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে।তারা বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার দাবি করছে। কিন্তু তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।এখন তারা ইউক্রেনের জৈবিক ল্যাব এবং রাসায়নিক অস্ত্র সম্পর্কে অযৌক্তিক দাবি করছে। এটা আরো একটি মিথ্যা প্রচারণা তাদের। 

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নথির বরাতে সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম স্পুতনিক দাবি করে, অত্যাধুনিক জৈব অস্ত্র নির্মাণের ল্যাব রয়েছে।  ২০০৫ সাল থেকে ইউক্রেনকে এ জন্য গবেষণাগার নির্মাণে অর্থায়ন করছে আমেরিকা। ২০১০ সাল থেকে ওডেসা শহরে শুরু হয় ইন্টেরিয়াম সেন্ট্রাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরি (আইসিআরএল) নামের জৈব গবেষণাগার নির্মাণের কাজ।

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তর দ্ব্যর্থহীনভাবে রাশিয়ার এ দাবি অস্বীকার করেছে। 


তথ্যসূত্র: ন্যাটো ইন্টারন্যাশনাল (ওয়েবসাইট)

LEAVE A REPLY