সুবহার আরেক ‘স্বামী’র সন্ধান দিলেন ইলিয়াস

ইলিয়াস হোসাইন ও শাহ হুমায়রা সুবহা

অভিনয়শিল্পী ও মডেল  শাহ হুমায়রা সুবহা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক দিন পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবহা। একইভাবে ইলিয়াসও সুবহার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। সম্প্রতি সুবহা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

তবে ইলিয়াস সুবহার এমন ঘটনার মাঝেই জানা গেল একটি নতুন খবর। সুবহা ২০১৭ সালে গাইবান্দা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। বাদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে সুবহা নিজেই ছিলেন এবং সঙ্গে আরাফাত নামে একজনকে সাক্ষী করা হয়, যাকে ওই নথিতে সুবহার স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

তবে সুবহা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, এই নথি যিনি রেকর্ড করেছেন তিনিই ভুল করেছেন। এই নথির সঙ্গে ইলিয়াস নিজের মিল খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বুধবার  সকালে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহর নামে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন ইলিয়াস। সেখানে এই গায়ক বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এর পরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

ইলিয়াসের নামে যে মামলা করা হয়েছে, একইভাবে ২০১৭ সালে মো. নোমান সরকার, মো. মাহফুজার রহমান লিখন, মো. আল ইমরানের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন সুবাহ। সেই মামলার কপি দেখিয়ে সুবাহর বিবরণী তুলে ধরেন ইলিয়াস। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাকে (সুবাহ) ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক করে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয় এবং পরে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। সেখানে সাক্ষী হিসেবে সুবাহর স্বামীর নাম লেখা ছিল মো. ইয়াসির আরাফাত।

বিষয়টি নিয়ে ইলিয়াস বলেন, ওই মামলায় সুবাহ নিজেই উল্লেখ করেছে সে বিবাহিত। কিন্তু সে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছে কাবিননামা দেখাতে, আমি অবশ্যই দেখাব। এখন দুটি বিষয়- এক. সুবাহ যদি বলে সে বিবাহিত না, তাহলে সে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ওই মামলাটি ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে বিয়ে করেছে, তাহলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে কুমারী উল্লেখ করে। সেটার জন্য একটা প্রতারণা মামলা হবে।   

ইলিয়াস আরো বলেন, সুবাহ ২০১৪ সালে ছয় মাস কারাভোগ করেছে। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল, সেই রিপোর্টও আসতেছে। ২০১৭ সালে আরেকজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছে। এখানেই প্রমাণ হয় যে সে এটাকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে।   

ইলিয়াসের সঙ্গে সুবাহর বিয়ের কাবিন হয় ৭,৭৭,৭৭৭/- (সাত লাখ সাতাত্তর হাজার সাত শ সাতাত্তর) টাকা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় সুবাহ বলেন, আমার দেনমোহর আমি পাই, সেটা আমাকে দিয়ে দেবে। এটার জন্য যতটুকু দৌড়ানো দরকার আমি দৌড়াব।

এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, দেনমোহর দুইবার দিয়েছি। আবার দিতাম, টাকাই যেহেতু তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা দেওয়ার মতো জায়গা সে (সুবাহ) রাখে নাই। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। তার ধারণা, আমি হয়তো তার কাছে ফিরে যাব। সে গতকালকেও আমাকে তার কাছে ফেরার জন্য মেসেজ দিয়েছে।  

গত বছরের শেষভাগে সুবহা ও ইলিয়াস বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সে বিয়ের শুরুতে ভাঙন তৈরি হয়। দুজনের অভিযোগ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

LEAVE A REPLY