দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এখন পর্যন্ত কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশ একটাও জয় পায়নি। তবে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টাইগারদের কাছে হার মেনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয় থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই সিরিজকে তিনি কঠিন বলতে নারাজ, তবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন।
আজ ম্যাচপূর্ব ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এখানে আমাদের ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার খুব অভিজ্ঞতা নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি এখানে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। এটা এমন একটি মাঠ…যদি পরিসংখ্যান দিয়ে বিবেচনা করি তাহলে বলব এটা বেশ হাই স্কোরিং গ্রাউন্ড যেখানে অনেক রান হয়। মাঠের আকৃতি এবং আউটফিল্ড বড় কারণ। তবে পরিসংখ্যান যতই দেখি না কেন আমাদের মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ‘
প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে অবহিত করে তামিম বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে উঠবে। ওই জিনিসটা আমাদের ভালো করে সামলে নিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপে আমরা ওদের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। তাই এখানেও ভালো না খেলার কোনো কারণ দেখি না। আমি যত কিছু বলি না কেন, আমরা কাল শুরুটা কিভাবে করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে দেখা যাবে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাই। এখানে আমরা আমাদের জিনিসটা নিয়ে মনোযোগী। দক্ষিণ আফ্রিকায় সব সময়ই আমাদের জন্য কঠিন সফর হয়। এবার আমাদেরকে চেঞ্জ থিংস অ্যারাউন্ড। ওটা করার জন্য আমাদের সাহস নিয়ে খেলতে হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূ্র্ণ। অনুপ্রেরণার কথা যেটা বললেন…আপনি যখন দেশের জার্সি পরে মাঠে নামেন তার থেকে বড় কিছু আর থাকে না। ‘
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘তিনটা-চারটা সেশন অনুশীলন করেছি। এ সময়ে আমরা যতটা সম্ভব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা জিনিস বুঝতে হবে, এ রকম কন্ডিশনে আমরা সব সময় খেলি না। কিন্তু একদিক থেকে ভালো যে আমরা সেন্টার উইকেটে বেশ কয়েকটি অনুশীলন করতে পেরেছি। ওয়ান্ডারার্সে আমরা সেকেন্ড ম্যাচ খেলব। সেখানে আমরা সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছি। যেটা নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচের মতো হয়েছিল। যতটুকু আমরা পারছি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। দুই-তিন দিনে তো এগুলোর পরিবর্তন হয় না। মূল বিষয় হচ্ছে আপনি মানসিকভাবে যতটুকু প্রস্তুত থাকবেন, যতটা লড়াই করতে পারবেন তাহলে ভালো করতে পারবেন। এটাই মূল বিষয়। আপনি সারা বছর এক ধরনের উইকেটে খেলে সাত দিন আগে এখানে এসে নিজেকে প্রস্তুত পাচ্ছেন। নিশ্চয়ই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা উচিত। যেটা বললাম, যতটুকু মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন সেটাই মূল বিষয়। ‘
তামিম আরো বলেন, ‘এই সিরিজকে আমি কঠিন বলব না, তবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, এটা আগেও বলেছি। ওই চ্যালেঞ্জের জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। কমবেশি সবাই যারা এই দলে খেলছে এক-দুজনকে বাদ দিলে আমরা সাবাই কিন্তু ৪০-৫০ বা তারও বেশি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রাখি। তো সবাই জানে কার কী দায়িত্ব। আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে চ্যালেঞ্জ ফেস করার জন্য আমরা কতটা তৈরি। ‘