ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ নীলের’ এমডি-পরিচালক গ্রেপ্তার

    মশিউর রহমান ও ইফতেখারুজ্জামান রনি। ছবি: সংগৃহীত

    লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ নীল’ এর দুই প্রধান কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান রনিকে

    রবিবার (২০ মার্চ) রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-২ এবং র‌্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ফরিদপুর থেকে মশিউর রহমান ওরফে সাদ্দাম (২৮), এবং রাজধানী থেকে ইফতেখাইরুজ্জামান রনিকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ২টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ এবং ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

    গত ১৮ মার্চ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানটির এমডি এবং ডিরেক্টরসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

    জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আকাশ নীলের কারসাজির মূলহোতা মশিউর। ২০১৯ সালে ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ তৈরি করে এবং ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে। তবে করোনা মহামারির কারণে ব্যবসা সচল রাখতে পারেননি। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত ব্যবসা না করায় প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

    পরে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে অর্থ নিয়ে মশিউর কোম্পানিকে লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করে কাঠাল বাগান থেকে পান্থপথে স্থানান্তরিত করে। এ ছিল পরিবার কেন্দ্রিক ব্যবসা। এতে মশিউরের নামে ৭৭ শতাংশ, বোনের নামে ১০ শতাংশ, মায়ের নামে ৮ শতাংশ এবং তার স্ত্রীর নামে ৫ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায় মশিউর ছিল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মা ছিলেন চেয়ারম্যান এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত বন্ধু ইফতেখাইরুজ্জামান রনি ছিলেন ডিরেক্টর।

    পরে ইভ্যালিসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন মোটর সাইকেলের অফার দিয়ে রমরমা ব্যবসা শুরু করলে মশিউর ২০২১ সালের জুন মাসে মোটর সাইকেল ভিত্তিক অফারে ব্যবসা দিয়ে পুনরায় তারা যাত্রা শুরু করে।

    গ্রাহকদের আকৃষ্ট হওয়ার মূল কারণ ছিল স্বল্প মূল্যে বা ডিসকাউন্টে প্রতিটি মোটর সাইকেলে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়।

    LEAVE A REPLY