কৃষক হত্যায় মৃত্যুদণ্ড কমে হাইকোর্টে আসামির যাবজ্জীবন

প্রায় সাত বছর আগে রাজশাহীর বাগমারায় কৃষক আকাবর আলীকে হত্যার দায়ে আবু হানিফ প্রামাণিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের দেওয়া ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ’ সংশোধন ও খারিজ করে বুধবার এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে দণ্ডিত আবু হানিফ প্রামাণিকের আপিলটিও খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অজি উল্লাহ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম। পরে আইনজীবী অজি উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামি আবু হানিফ প্রামাণিককে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ২৮ বছর। ছয় বছর ধরে আসামি কনডেম সেলে আছেন। তা ছাড়া ঘটনার আগে তার কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার মৃত্যুদণ্ডে অনুমোদন না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে কোদাল দিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে মাটি কাটছিলেন কৃষক আকাবর আলী। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মকবুল হোসেনের ছেলে আবু হানিফ প্রামাণিক হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আকাবর আলীর ঘাড়ের ডান পাশে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আকাবর আলী। এ ঘটনায় ওই দিনই আকাবর আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আবু হানিফকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে  ২০১৫ সালের ১৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় বিশেষ জজ ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের-(২) বিচারক জাকিয়া পারভিন রায় দেন। রায়ে আবু হানিফ প্রামাণিককে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।

রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। ওদিকে খালাস চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে জেল আপিল ও পরে আপিল করেন দণ্ডিত হানিফ প্রামাণিক। সেসব একসাথে শুনানির পর রায় দিলেন হাইকোর্ট।

LEAVE A REPLY