রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পৃথকভাবে ৯ জন দূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন। তাদের একজন হাইকমিশনার, অপর আটজন রাষ্ট্রদূত। আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে ৯ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত এই সব দূতই অনাবাসী।
তারা হলেন, নাইজেরিয়ার হাইকমিশনার আহমেদ সুলে এবং আটজন রাষ্ট্রদূত এস্তোনিয়ার ক্যাট্রিন কিভি, আয়ারল্যান্ডের ব্রেন্ডন ওয়ার্ড, রুয়ান্ডার মুকাঙ্গিরা জ্যাকলিন, রোমানিয়ার ড্যানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ, মৌরিতানিয়ার মোহাম্মদ আহমেদ সালেম মোহাম্মদ রারা, আর্জেন্টিনার হুগো কাভিয়ার গোবিবি, কাজাখস্তানের নুরলান ঝালগাসবায়েস, ডোমিনিকান রিপাবলিকের ডেভিড ইমানুয়েল পুইগ বুচেল।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই দেশগুলোর সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজার রেখে চলেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়।
রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন, রাষ্ট্রদূতরা তাদের মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদেরকে নিজ নিজ দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে ঢাকায় তাদের দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিকসচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছলে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী কন্টিনজেন্ট নবনিযুক্ত দূতদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেনাবাহিনীর বাদকদলের ব্যান্ডের সঙ্গে দূতদের নিজ নিজ দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং দূতরা গার্ড পরিদর্শন করেন।
সূত্র : বাসস