প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ভয়ংকর রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন অভিষেক!

অভিষেক। প্রসেঞ্জিত ও ঋতুপর্ণা

১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ‘পথভোলা’ ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু অভিষেকের। তারপর দীর্ঘদিন সফলভাবে অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে ‘হিরো’ হওয়ার যাবতীয় উপাদান তাঁর মধ্যে থাকলেও, একসময় তিনি হারিয়ে যান ইন্ডাস্ট্রি থেকে। কেন সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে?

টেলিভিশনে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন অভিষেক।

যদিও সেখানে কারো নাম করেননি। কিন্তু প্রায় সরাসরিই অভিযোগের তির ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দিকে। বৃহস্পতিবার অভিষেকের মৃত্যুর পরে এই প্রসঙ্গটি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে।

সেই সাক্ষাৎকারে কী বলেছিলেন অভিষেক? শাশ্বত তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, পর পর হিরোর চরিত্রে অভিনয় করার পরও, সেই ছবিগুলো ভালো চলার পরও হিরো অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে কেন আর দেখা যায় না?

উত্তরে অভিষেক বলেন, দুটি কারণ। প্রথমত, ভাগ্য। দ্বিতীয়ত, ভয়ংকর রাজনীতি। তাঁর কথায়, ‘‘তোদের খুব প্রিয় ‘দাদা’ আর ‘দিদি’, টপ হিরো আর টপ হিরোইন, তারা দুজন জোট বেঁধে আমাকে যে কত ছবি থেকে বাদ দিয়েছে… আমার সাইন করা ১২ থেকে ১৪ খানা ছবি থেকে বাদ দিয়েছে… নতুন ভাবা ছবি মিলিয়ে ২০-২২টি ছবি থেকে বাদ দিয়েছে। টানা বাদ দিয়েছে। আমি অভিষেক চ্যাটার্জি, তখন অলমোস্ট নাম্বার ওয়ান স্টার, হঠাৎ দেখল, তার হাতে একটাও কাজ নেই। আমি টানা এক বছর বাড়ির বাইরে বেরোইনি। লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে তার থেকে পয়সা বের করে আমায় খেতে হয়েছিল। ’’

‘কখনো জানতে চাওনি কেন এমন হয়েছে?’ প্রশ্ন করেছিলেন শাশ্বত। তার উত্তরে অভিষেক বলেন, ‘না, কখনো না। ’

সব মিলিয়ে অভিষেকের মৃত্যুর পর এই প্রসঙ্গ আবার ফিরে এসেছে। নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিত থেকে নাকি স্পষ্ট, তিনি সেদিন প্রসেনজিৎ আর ঋতুপর্ণার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। এমনই বক্তব্য টলিউডের সঙ্গে যুক্ত অনেকের।

যদিও অতীতে এই প্রসেনজিৎ আর অভিষেকের অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। বহু ছবিতে দুই তারকা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তা ছাড়া অভিষেক এবং প্রসেনজিতের পারবিবারিক অনুষ্ঠানেও পরস্পর হাজির হতেন বলেই শোনা যায়। কিন্তু পরে এই সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে অভিষেকের অভিযোগের কোনো জবাব কখনো দেননি প্রসেনজিৎ।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

LEAVE A REPLY