এ বছর কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রেকর্ড ৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো বলেছেন বিশেষজ্ঞরা ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদি অর্থ উপার্জনের পুর্বাভাস দিয়েছে।
ফিফা পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক কংগ্রেসে তিনি বলেছেন বর্তমান পরিস্থিতি চমৎকার এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ইতোমধ্যে সেটিকে টপকে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। অতীতের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও করোনা মহামারি সত্বেও টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব, পৃষ্ঠপোষকতা ও বিপনন থেকে এই রাজস্ব আয় করেছে ফিফা।
কারণ টেলিভিশন ও ভিন্ন প্লাটফর্মের দিকে বেশি ঝুঁকছে দর্শক।
ফিফা জানায়, ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয়ের পরিমাণ নতুন রেকর্ড গড়বে। ফিফার আর্থিক সার্কেল চার বছর কেন্দ্রিক এবং বিশ্বকাপকে আবর্তন করে চলে। সংস্থাটির ২০২১ এর স্তরে ৭৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের কথা জানিয়েছে। সাধারণত বিশ্বকাপের বছর ফিফার অ্যাকাউন্টে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব জমা হয়। অভিবাসি শ্রমিক নির্যাতন ইস্যুতে কাতার বিশ্বকাপ নানাভাবে সমালোচিত হলেও রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে আয় বেড়েছে।
ফিফার আর্থিক সামর্থ্য এতটাই বেড়েছে যে, মাহামারি পরবর্তী ফুটবলের পুনর্গঠনের জন্য এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। তারপরও সংস্থাটি বাড়িয়ে তুলেছে তাদের নগদ ও সম্পদের পরিমাণ। সম্পদের রিজার্ভ ২১ শতাংশ বাড়িয়ে ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করেছে ফিফা। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির হিসাবই বলে দিচ্ছে এটির আর্থিক অবস্থান আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হচ্ছে। ‘