বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে হবে ব্যাংকার

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব-তামিম-মুশফিকদের মতো সুপারস্টারের উদ্ভব হওয়ার আগে খুব কম বাবা-মা-ই চাইতেন, সন্তান খেলোয়াড় হবে। টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের বাবা-মাও তেমনটা চাননি। চাঁদপুরর ছেলে জয়ের বাবা আব্দুল বারেক চাইতেন, তার ছেলে হবে ব্যাংকার। অথচ সেই জয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন জাতীয় দলের হয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি করা তিনিই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার।

ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই টেস্ট ম্যাচের ফলাফল যা-ই হোক না কেন জয়ের সেঞ্চুরি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একটা উদাহরণ। ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা জয় ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ৩২৬ বলে। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি উইকেটে ছিলেন ৪৪২ মিনিট ! অসম্ভব ম্যাচিউরড ব্যাটিং করেছেন। প্রলোভনে ভোলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন কন্ডিশনে সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে মাত্র ২১ বছর বয়সে ঠাণ্ডা মাথায় দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

মাহমুদুলের খেলার সাথিদের মতে, পাড়ার খেলায় তিনি নাকি একটা সময় ব্যাটিংই পেতেন না! তাকে দিয়ে বল কুড়ানোর কাজ করাতেন বড় ভাইয়েরা। ২০১৩ সালে চাঁদপুরে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তার অগ্রযাত্রার শুরু। ডারবানে তার ব্যাটিং দেখে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এমন ইনিংস তিনি খুব কমই দেখেছেন। মাহমুদুলের বক্তব্যেও ছিল পরিপক্বতা, ‘এখানে কোনো ম্যাজিক নেই, আমার দায়িত্ব ছিল ব্যাট করা, সেটা করেছি। ‘

– বিবিসি বাংলা অবলম্বনে

LEAVE A REPLY