চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন টেইলর

ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দিনে সপরিবারে টেইলর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে আর দেখা যাবে না রস টেইলরকে। সোমবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচটা তিনি খেলে ফেললেন।

মাঠে নামার আগে এ দিন টেলরকে ‘গার্ড অব অনার’ দেন প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটারেরা। ম্যাচের শেষে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বিদায়বেলায় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন টেইলর। কোনও মতে তাকে কান্না চাপতে দেখা যায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

এরআগে এই বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিজের শেষ টেস্ট খেলেন টেইলর। কিন্তু নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা ঘরের মাঠে খেলার জন্য এত দিন অপেক্ষা করে ছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের এই কিংবদন্তি ব্যাটার। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে ১১২টি টেস্টে ৭৬৮৩ রান করেন টেইলর। সর্বোচ্চ ২৯০, সেঞ্চুরি ১৯টি। পাশাপাশি ২৩৬টি ওয়ান ডে ম্যাচে ৮৬০৭ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরির সংখ্যা ২১। আইপিএলেও একটা সময় ঝড় তুলেছিলেন টেইলর।

এদিন মাঠে ছিল টেইলরের তিন সন্তান ম্যাকেঞ্জি, জন্টি এবং অ্যাডিলেড। শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে ব্যাট হাতে বাবাকে দেখতে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাদের। শুরুতে নিউজ়িল্যান্ড ব্যাট করলেও দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ২০৩ রান হওয়ায় অপেক্ষার পালা বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন টেইলর। তাকে ব্যাট হাতে নামতে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে করতালিতে অভিনন্দন জানান সেডন পার্কের দর্শকরা। শেষ পর্যন্ত ১৪ রান করেন টেইলর। মারেন একটি ছয়ও। আবার নেদারল্যান্ডসের শেষ ব্যাটারের ক্যাচটি ধরে নিউজ়িল্যান্ডকে ১১৫ রানে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেন বিদায়ী ব্যাটার।

টেইলরকে বিদায়ী বার্তা পাঠিয়েছেন সচিন টেন্ডুলকারও। ক্রিকেট কিংবদন্তি গণমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘তোমার বিরুদ্ধে খেলার দারুণ অভিজ্ঞতা ভুলব না। যেভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তুমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলে, তা উঠতি ক্রিকেটার এবং খুদেদের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবে। অসাধারণ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন।” টেইলর নিজে বলেন, ‘‘সব সময় চেয়েছিলাম দেশের হয়ে খেলতে। হাসিমুখে খেলে গিয়েছি। আশা করব, মাথা উঁচু করে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।”ডি-ইভূ

LEAVE A REPLY