চ্যাম্পিয়নস লিগে বড় জয়ে সেমি ফাইনালের পথে লিভারপুল

লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম গোল করেন কোনাতে

বেনফিকার মাঠ থেকে ৩-১ গোলের অনায়াস জয় নিয়ে বাড়ি ফিরল লিভারপুল। বেনফিকার রক্ষণ ভাঙতে মেরেকেটে ১৭ মিনিট লেগেছে লিভারপুলের। মৌসুমের শুরুতে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ থেকে দলে আসা ফরাসি ডিফেন্ডার ইবরাহিমা কোনাতে লিভারপুলের জার্সি গায়ে প্রথম গোল পেয়েছেন। লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন কোনাতে।

এর ঠিক ১৭ মিনিট পর আবারও গোলের দেখা পায় লিভারপুল। মাঝমাঠের ডানপ্রান্ত থেকে ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আরনল্ডের ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁয়ে পাশে থাকা সাদিও মানেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন কলম্বিয়ান উইঙ্গার লুইস দিয়াজ। তাতেই ব্যবধান ২-০ হয়ে যায়।

দিয়াজ আগে পর্তুগালের ক্লাব এফসি পোর্তোতে খেলতেন, সে সুবাদে বেনফিকাকে কাছ থেকে দেখেছেন, হয়তো কোচকে ম্যাচের আগে বাড়তি কিছু তথ্য দিয়ে সহায়তাও করেছেন। ক্লপ যার প্রতিদান দিয়েছেন দিয়াজকে মূল একাদশে রেখে। দিয়াজও কোচের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন একটি করে গোল করে ও করিয়ে।

৩৪ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার কারণেই কি না, একটু গা-ছাড়া ভাব চলে আসে লিভারপুলের খেলায়। ডানপ্রান্ত থেকে আসা রাফা সিলভার একটা ক্রস ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে না পেরে দলের বিপদ ডেকে আনেন ম্যাচের প্রথম গোলদাতা কোনাতে। পেছনে ওঁত পেতে থাকা উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড দারউইন নিউনেজ গোল করার পর কোনাতেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন কি না, জানা যায়নি যদিও!

গোল পেয়েই যেন প্রাণ ফিরে পায় বেনফিকা। লিভারপুলের রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় বেশ কিছু আক্রমণের মাধ্যমে। সামনের সিটির বিপক্ষে ম্যাচ দেখগেই কি না, ৬০ মিনিটের মাথায় সালাহ, থিয়াগো আর মানেকে তুলে নেন ক্লপ। তাতে লিভারপুলের সমস্যা হয়নি। দিয়াজ ছিলেন যে!

৮৭ মিনিটে মিডফিল্ডার নাবি কেইতার রক্ষণচেরা পাস খুঁজে নেয় সামনে থাকা দিয়াজকে। দিয়াজও বেনফিকার গোলকিপার ভ্লাচোমিদোসকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে স্কোরলাইন ৩-১ করে ফেলেন।ডি-ইভূ

LEAVE A REPLY