ইউক্রেন যুদ্ধ তিন উপায়ে বাড়তে পারে, যুক্ত হতে পারে ন্যাটো

প্রতীকী ছবি

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ঠিক কতটা এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে ন্যাটো সামরিক জোটের নেতারা ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন।

এই লড়াইয়ে ন্যাটোর জন্য চ্যালেঞ্জ হলো- কিভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়ে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের সরাসরি উপস্থিতি না দেখিয়েও মিত্র ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য যথেষ্ট সামরিক সহায়তা দেওয়া যায়।

এদিকে ইউক্রেনের সরকার ন্যাটো সামরিক জোটের কাছে স্পষ্টভাবে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, দনবাস অঞ্চলে রাশিয়া ভারি অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালালে পশ্চিমের তৈরি অস্ত্র জাভেলিন এবং এনএলএডাব্লিউ (নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি ট্যাংক অস্ত্র) স্টিঞ্জার, বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নতুন করে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হবে।

পশ্চিমের তরফ থেকে ইতোমধ্যেই বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেন আরো চাহিদার কথা বলেছে।

ইউক্রেন চাইছে, ট্যাংক, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়ার বিমান হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতেই এসব সামরিক সরঞ্জাম চায় কিয়েভ।

তিন কারণ

ন্যাটো সরবরাহকৃত জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন যদি ওডেসায় শ’খানেক নাবিকসহ কৃষ্ণ সাগরে কোনো রুশ যুদ্ধজাহাজে আঘাত করে এবং ডুবিয়ে দেয়। হামলার একক ঘটনায় এই মাত্রার মৃত্যুর সংখ্যা নজিরবিহীন হবে এবং পুতিন কোনো না কোনো আকারে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাপের মধ্যে থাকবেন।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটো জোটের কোনো দেশ, যেমন পোল্যান্ড বা স্লোভাকিয়া দিয়ে ইউক্রেনে পারাপারের সময় কোথাও আঘাত হানে। যদি ন্যাটোভুক্ত দেশের সীমান্তের পাশে হতাহতের ঘটনা অব্যাহত থাকে এবং ন্যাটোর সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে মিলে যায়; সেক্ষেত্রে দেশটির সুরক্ষায় পুরো জোট লড়াইয়ে অংশ নিতে পারে।

দনবাসে ব্যাপক লড়াইয়ের মধ্যে কোনো শিল্প কারখানায় বিস্ফোরণ ঘট গেলে এবং তার ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হলে। বিষাক্ত গ্যাসের ব্যবহারে যে ধরনের ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে, রুশ বাহিনীর দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেরকম কিছু ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ হলে ন্যাটো জবাব দিতে বাধ্য হবে।
সূত্র: বিবিসি।

LEAVE A REPLY