ফাইল ছবি
কোভিড পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মানুষের মাঝে একটি বাড়তি সচেতনতা তৈরি হয়েছে। নিয়মিত হাত ধোঁয়া। মাস্ক পরা। বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই জামাকাপড় বদলে নেওয়া। প্রাত্যহিক জীবনে এই অভ্যাসগুলো শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে হাত ধুঁয়ে নেওয়ার অভ্যাস কমবেশি সকলের মধ্যেই আছে। হাত ধুঁয়ে নিলেও শরীরের কিছু অংশ সব সময়ে ঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা হয় না। জীবাণু সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ঠিক পদ্ধতিতে পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
কানের পিছনের অংশ
মাথায় শ্যাম্পু করার সময় ছাড়া কানের পিছনের অংশ ভাল করে পরিষ্কার করা হয় না। কানের এই অংশে সেবাশিয়াস গ্রন্থিগুলি অবস্থিত। এটি ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু জন্ম নেওয়ার উপযুক্ত জায়গা। তাই সংক্রমণ এড়াতে প্রতি দিন কানের পিছনের অংশ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। সরাসরি পানি দিয়ে ধুঁতে গেলে কানে পানি ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তুলো ভিজিয়ে কানের পিছনে বুলিয়ে নিতে পারেন।
নাভিমূল
পেটের নাভি শরীরের অন্যতম উপেক্ষিত অঙ্গ। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে নাভির খাঁজে ব্যাক্টেরিয়া ময়লা জমার আশঙ্কা থেকে যায়। দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করার ফলে ব্যাক্টেরিয়া জমাট বেঁধে বাজে দুর্গন্ধও বের হতে পারে।
নখের ভিতরে
সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুলেও অনেক সময়ে নখের ভিতরে ময়লা থেকে যায়। অনেক সময়ে তা নজর এড়িয়ে যায়। নখের ভিতরে জমে থাকা ময়লা খাবারের মধ্যে দিয়ে পেটে চলে যায়। এর ফলে পেটের বিভিন্ন গোলমাল, বমি এমনকি ডায়েরিয়ার সমস্যাও হতে পারে।
জিভ
দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেওয়া ছাড়াও নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অনেকেই জিভের যত্নের শেষ কথা হিসাবে মাউথওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জিভে থাকা ব্যাক্টেরিয়া বিনষ্ট করতে নিয়মিত আলাদা গুরুত্ব দিয়ে জিভ পরিষ্কার করা জরুরি। এতে মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
পায়ের আঙুলের খাঁজ
পায়ের আঙুল সব সময়ে নজরের আড়ালেই থাকে। বিশেষ করে দুটি আঙুলের মধ্যবর্তী স্থান। বাইরের ধুলো কাদায় এই খাঁজগুলোতে সবচেয়ে বেশি ময়লা জমে। পরিষ্কার না করার ফলে ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া জমে ওই অংশের ত্বকে র্যাশ, চামড়া উঠে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা জমে থাকার ফলে দুর্গন্ধ বার হতে পারে। সুত্র : আনন্দবাজার পত্রিকার।